১১ জানুয়ারি সারাদেশে ৪ ঘণ্টা গণ-অবস্থান করবে বিএনপি
আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০ থেকে বেলা ২ পর্যন্ত গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এই কর্মসূচি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। এ ছাড়া সারাদেশে নয়টি বিভাগের শহরে একইভাবে ৪ ঘণ্টা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যেসব দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে তারাও আগামী ১১ জানুয়ারি এই গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে হ্রাইবিড সরকার নামে পরিচিত বলে উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, আজকে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। অনেক আমদানিকারণ এলসি খুলতে পারছে না, কারণ ব্যাংকগুলোতে ডলার নেই।
সরকারের পদত্যাগ দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
মিছিল শুরু আগে আগত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে আপনাদের অভিনন্দন জানাই। শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও এখানে উপস্থিত হয়েছেন।
গণমিছিল থেকে খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান মোশাররফ।
জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করবে বলে উল্লেখ করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যত চেষ্টা করুন, যত নির্যাতন করুন লাভ হবে না। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমি সরকার ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা লোকদের বলব আজকের গণমিছিল এসে দেখে যান।
বক্তব্য শেষে মগবাজারের উদ্দেশে গণমিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে।
এমএইচ/আরএ/