সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে: ফখরুল

প্রয়োজন হলে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের যুদ্ধ শুধু বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাদের যুদ্ধ আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।দেশের মালিক এ দেশের মানুষ, মানুষের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের যুদ্ধ। আমরা ভোট দিতে চাই দেশের মানুষ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত করতে চায়। আর সরকার কখনই সেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে কারণ তারা জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কখনোই বিজয়ী হতে পারবে না তারা।’

রবিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ তখনই সম্ভব হবে, যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। মানুষের নিরাপত্তা স্বাস্থ্য চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিতকরণ তখনই সম্ভব হবে যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এবং সেই সরকারকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যে বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সেটা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকের অন্তরের কথা যে, আমরা আর পারছি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে এতে করে আমাদের জীবন যাপন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটাই কারণ সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি। আজকে তারা দুর্নীতি করে ফুলে-ফেঁপে বড় হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ ঈদের যারা ব্যবসা করে তারা সকলেই আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারণ হচ্ছে এলপিজি গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করে নিয়ে আসার পেছনে তাদের শিল্প উপদেষ্টা জড়িত। ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি কোন বিচার হচ্ছে না। চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে কেন্দ্র করে জমি অধিগ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কোন বিচার হয় না।’

করোনার পরে দেশের শতকরা ২ ভাগ দারিদ্র বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কর্মহীন অবস্থায় আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষ। যা স্বীকার না করে সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য ক্রয়ে সাধারণ মানুষের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশকে এমন একটি জায়গায় আওয়ামী লীগের সরকার নিয়ে গেছে, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ এখন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। অতিষ্ঠ হয়ে গেছে জীবন। বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম যে খাবার সেটা কিনতে পারছে না। বেঁচে থাকার জন্য যে নিরাপত্তা দরকার সে নিরাপত্তা পাচ্ছে না। বরং আমরা যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করছি তখন সরকারের টনক নড়েছে তারা জেলা-উপজেলায় আমাদের কর্মসূচিগুলোতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, বাধা দিচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদেরকে সরাতে হবে একটা গভীর চক্রান্ত আছে সেই চক্রান্ত হচ্ছে এদেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে তারা একটা রাজতন্ত্র তথাকথিত মুজিববাদের দেশ এখানে চালু করবে।’

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ তারা একই কাজ করেছে এবং শেষ পর্যন্ত জনগণ যখন বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে, প্রায় ৩০ হাজার তরুণকে হত্যা করেও সেই বিদ্রোহ সামাল দিতে পারে নাই, তখন তারা একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে ও একই ঘটনা ঘটছে, এবার শুধু চেহারাটা আলাদা, মোরগ আলাদা, গণতন্ত্রের মোড়ক লাগিয়েছে কিন্তু ভিতরে ভিতরে সমস্তটাই একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা।’

‘আজকে স্কুল কলেজগুলোতে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে উপরন্তু এমন এমন হেডমাস্টার হেডমিস্ট্রেস অথবা ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যারা চোর চুরি করে সারাক্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চুরির আখড়ায় পরিণত হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশে যা কিছু কল্যাণকর যা কিছু মহৎ সবকিছু ছাত্ররাই করেছে তাই ছাত্রদেরকে আবারও তাদের পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে এসে সমস্ত অচলায়তন ভেঙে ফেলতে হবে। থেকে উঠতে হবে, মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষকে সামনে নিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো কিছু বুঝি না। শুধু একটি কথাই বুঝি এখানে একটা নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সে জন্য বলছি আগে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সেই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে এখানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। এটাই হবে বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়িত করা। কারণ সব জায়গায় আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন।’

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবরণের পাশাপাশি এ ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়েও নিজেদের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

কক্সবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে সমিতিপাড়ার কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একজন স্থানীয় লোকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।

আইএসপিআর আরও জানায়, ওই সময় সমিতি পাড়ার আনুমানিক দুই শতাধিকেরও বেশি স্থানীয় লোকজন ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়লে চেকপোস্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য ও সমিতি পাড়ার কতিপয় দুষ্কৃতকারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে কতিপয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন, যার মধ্যে বিমান বাহিনীর ৪ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া শিহাব কবির নাহিদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আইএসপিআরের দাবি, বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ওপর কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, কুচক্রি মহল বিমান বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি নয়।

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, তবে তিনি তাতে রাজি। একই সঙ্গে, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিনিময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়তে তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সিএনএন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আমার পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত।”

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি করা সম্ভব নয়।

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং নির্বাচনের বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে পাল্টা মন্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্প “ভুয়া তথ্যের রাজ্যে বাস করছেন।”

Header Ad
Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়’, ‘আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রং তামাশা’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে এহেন কোন কাজ নেই, যা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মত অযোগ্য উপদেষ্ঠা এ দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।’

ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত ছিল বলেই চব্বিশের অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দ্বায়িত্ব পালন করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতজানু নীতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে এই নতজানু নীতি এদেশে আর চালাবেন না। এই দেশ নতুন করে যেমন বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বিপ্লবী গতিতেই চলবে। ২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলায় আর কারও ঠিকাদারি আমরা মেনে নিব না।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর