আওয়ামী লীগ প্রতারক দল: ফখরুল
আওয়ামী লীগ একটা প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে দেশের জনগণ এখন গালি দেয়-মানুষ নয়, এরা আওয়ামী লীগ। এখন মানুষের পর্যায়ে পড়ে না এরা, মানুষ মনে করে এরা একটি বিশেষ প্রাণি।’
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত ময়মনসিংহ সদরে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ওদের (আওয়ামী লীগ) মাহবুবু-উল-আলম হানিফ নামে একজন নেতা আছেন যিনি প্রত্যেকদিন বলছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে নাম পাঠিয়েছে...আমরা স্পষ্ট করে বলছি-ডা. জাফরুল্লাহ’র বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট-নির্বাচন কমিশন যেটাই হউক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন না।’
নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও তাদের অধীনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে, যোগ করেন তিনি।
সরকারের সমালোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা বলেছিল ঘরে ঘরে চাকুরি দিবে, কৃষকদের বিনা পয়সায় সার দিবেন...এখন কী পাচ্ছেন? পাচ্ছেন না, আর এটাই হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, আপনাদের (জনগণ) সঙ্গে বেইমানি করেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের কাছে স্বীকৃত বিষয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে ব্যবস্থা বাতিল করেছে।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখনো সময় আছে চাল ডাল তেলের দাম কমাও, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পদত্যাগ কর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দাও। জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে শিখেন, বড় বড় কথা বলেন, লম্বা লম্বা কথা বলেন টেলিভিশন চ্যালেনে, কারণ ৪২টি টেলিভিশন চ্যালেন, অনেক পত্রিকা আছে, আজকে এখানেও অনেক সাংবাদিক আছেন কিন্তু কিছু লেখার ক্ষমা তাদের নাই। সেজন্য সরকার আইন করেছেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধুমাত্র নিজেরা কিভাবে বড় লোক হবে সেজন্য রাস্তা তৈরি হচ্ছে, বড় বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ গত ১০ বছর ধরে জয়দেবপুরের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে একটি জাতীয় পত্রিকায় দেখলাম সেই রাস্তা তৈরিতে কি পরিমাণ টাকা খরচ করা হচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে একটি রাস্তার জন্য এত টাকা খরচ করে না। মূলত তারা নিজেরা নিজেদের পকেট ভারী করছে, লুট করছে এবং সেই লুটের টাকা বিদেশে পাচার করছে।
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন দুর্নীতির আখড়া হয়ে গেছে।
এমএইচ/এমএমএ/
