রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ড. কামালের গণফোরামের ভ‌বিষ্যত কী

রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৩০ বছর পার না হতেই ভাঙন ধরেছে গণফোরামে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিভক্তি প্রতিষ্ঠা পায় দলটিতে।

আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯২ সালে নতুন দল গণফোরাম গঠন করেন সংবিধান প্রণেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ড. কামাল হোসেন।

গণফোরাম গঠনের পর বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক জোট করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট করেন তিনি। ড. কামাল হোসেন নিজেই ছিলেন এ জোটের নেতৃত্বে।

বাইরে ঐক্যের ডাক দিলেও নিজ দলের ভেতর ঐক্য টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এই ব্যর্থতায় গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা এই গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও টিকে থাকার সম্ভবনা নিয়ে কথা হয় দুইজন বিশ্লেষকের সঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, টিম টিম করে জ্বলতে থাকা দলটির সম্ভবনা আরও কমে গেল।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘তাদের বিভক্তি হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি নতুন কমিটি হয়েছে। এটাই বিভক্তি কি-না তাও তো বলতে পারছি না। আর রাজনীতির মাঠে গণফোরামের এমনিতেই তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। ভাগ হলেই কী আর না হলেই কী? কাজেই গণফোরামের ভাগ হওয়া না হওয়া নিয়ে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না রাজনৈতিক অঙ্গনে। মূলত তাদের নেতৃত্বে দ্বন্দ্বের কারণেই হয়তো আলাদা হয়েছে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, বাইরের কারো প্ররোচনায় এমনটি হলো কি-না সেটাও ভেবে দেখতে হবে।’

উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন নিজে ঐক্যের ডাক দেন অথচ নিজের ঘরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেন না বলে সমালোচনা রয়েছে। তার দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে বেরিয়ে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন দলের আহ্বায়ক হয়েছেন। এবার মোস্তফা মোহসীন মন্টু সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণফোরামের বিভক্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো মোটাদাগে উদার গণতান্ত্রিক মতাদর্শ, যেটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা এগুলোকে যারা ধারণ করে এরকম দলের সংখ্যা কিন্তু কম। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে হাইলাইট করা দলের সংখ্যা বেশি। গণফোরাম মধ্যপন্থী একটি দল। তাদের গঠনতন্ত্র পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক দল বলতে যা বুঝায়, অন্তত কাগজপত্রে সেটা আছে। এ ধরনের দল বিকশিত হতে পারাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভালো। কারণ বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে–যারা গণতান্ত্রিক মূল্যেবোধে বিশ্বাস করে না; কিন্তু জনপ্রিয়। তারা গণহত্যায় বিশ্বাস করে, তারা উগ্রবাদে বিশ্বাস করে, তারা সংখ্যালঘুদের বিতারণ বা নির্যাতনে বিশ্বাস করে, যা তাদের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়; কিন্তু তারা অনেক জায়গায় ভোটে জেতে। গণফোরাম এ থেকে আলাদা একটা দল। উদার গণতান্ত্রিক দলের যে বৈশিষ্ট্য কাগজেপত্রে তা আছে বা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে যেটা দেখেছি, নেতৃত্বের সংকট বা নেতৃত্বের কোন্দল। এটা কোনোভাবেই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল না। দেখা গেল আর একত্রিত করা গেল না। একত্রিত করা গেলে অন্তত ভালো হতো। এটা ডানপন্থী না, ধর্মপন্থীও না, গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রে যা থাকে, তাদের মধ্যে সেটা আছে। সেদিক থেকে ভেঙে যাওয়াটা তো ভালো খবর নয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব কেন ধরে রাখতে পারলেন না, সেটা তারাই বলতে পারবেন। বাইরে থেকে যেটা মনে হচ্ছে, অতি উচ্চ মহাশিক্ষিত বনাম সাধারণ পলিটিশিয়ান–এরকম একটা বিভেদ মনে হয় তৈরি হয়ে গেছে কি-না? এলিট, নন-এলিট ব্যাপার আছে কি-না? যা-ই হোক, আসলে টিম টিম করে জ্বলতে থাকা উদার গণতান্ত্রিক দলগুলো তাদের টিকে থাকা আরও এক দফা দুর্বল হয়ে গেল।’

শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই এ পরিস্থিতি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে মাথায় রেখেই বলছি, এই যে তার অনুসারী যারা, কেন এক জায়গায় একত্রিত করতে পারছেন না? কি সমস্যা? এক দল বলছে, উড়ে এসে জুড়ে বসছে। আরেক দল হয়তো বলছে, আমি তো অনেক জানি-বুঝি, এরকমই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের মেরুকরণের চেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কে কোথায় নিজেকে ফিট করাবেন দলের মধ্যে, সেই জায়গাতে বেশি মনোযোগী।

বিভক্তি হওয়ার পর গণফোরামের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির বর্তমান এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ভবিষৎ তো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তারা (মন্টু-সুব্রত) চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি।’ গণফোরাম কি দুই ভাগ হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি তা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তো রেজিস্ট্রেশন নাই। হয়তো তারা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন নেবেন। তবে গণফোরাম নামে রেজিস্ট্রেশন দেবে বলে আমার মনে হয় না; অন্তত আইনে তা-ই বলে।’ নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে গণফোরামের ভাঙন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা মনে করি না। গত ২৮ বছর পার হয়েছে এই দলের। নেতৃত্বের দুর্বলতা পেছনে ছিল, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলবে। পেছনে নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল বলেই তো দলটার অগ্রগতি হয়নি। ড. কামাল হোসেনের মতো যোগ্যতম নেতৃত্ব থাকার পরেও তার আশপাশে যারা ছিলাম, তাদের অযোগ্যতার কারণেই হয়নি।’

ড. কামাল হোসেন তাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার মানে কি তিনি মেনে নিয়েছেন? আ ও ম শফিকুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ওটার প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি তো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকেও শুভেচ্ছা জানান। তিনি সবাইকে চান। ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। ঐক্য হলেই সৃষ্টি হয়। ঐক্য না থাকলে সৃষ্টি চলে যায়, এইটা তার বক্তব্য। এটা তিনি বিশ্বাসও করেন। জানি না, কি থেকে শুভেচ্ছা জানালেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণফোরাম একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অনেক কিছুই গেছে ড. কামাল হোসেনের উপর দিয়ে। তাকে অনেকেই ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগও ব্যবহার করেছে তাদের প্রয়োজনে, বিএনপিও ব্যবহার করেছে। আমি আশা করব, আমরা আর ব্যবহৃত হব না।’

দলটির নির্বাহী সদস্য মোশতাক আহমাদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পার্টির অধিকাংশ লোক আমাদের দিকে। যদিও তারা অনেক লোকের জমায়েত করেছে। আমি দপ্তরে থাকার কারণে সবাইকে চিনতাম। কারা গেছে সবাইকে চিনি। নির্বাচন কমিশনে গণফোরামের যে রেজিস্ট্রেশন আছে, সেখানে আমাদের নতুন অফিসের ঠিকানা এবং কমিটির তালিকা আছে। নিবন্ধন তো আমাদের সাথে, আমরা টিকে থাকব না এটা ঠিক না। আমরা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তারা যখন দেখল জেলাগুলোতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, তখন তারা হুলুস্থুল করে কমিটি করল।’

তিনি আরও জানান, গণফোরামের ৫০-৫৫টি জেলায় যোগাযোগ আছে। বলেন, ‘কাউন্সিলের আগে ২৫টি জেলায় সম্মেলন করার তালিকা করেছিলাম। এর মধ্যে দুটি জেলায় হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ আর নেত্রকোনায় কাউন্সিল হয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা জাতীয় কাউন্সিলল করব। আমরা লোক দেখানো কাউন্সিল করব না। একটা দলের যে আঙ্গিকে কাউন্সিল হয়, সেভাবেই করব।’

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস

ছেলে আব্রামের সঙ্গে অপু বিশ্বাস, শাকিব খান এবং বুবলী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুবলীর নাম উল্লেখ না করেই মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সন্তান (আব্রাম খান জয়) না থাকলে যাদের নিয়ে প্রসঙ্গ তৈরি হয়, তাদের আমি যোগ্য বলেই মনে করতাম না। কারণ যোগ্যতা একদিনে সৃষ্টি হয় না। আমি অপু বিশ্বাস, আমি একজন সুপারস্টার। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৭ বছর চলছে। তাই তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না।

২০১৭ সালে হঠাৎ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে পুত্র জয়কে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। সেদিন তিনি প্রকাশ করেন, জয়ের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। অপু জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে শাকিব ও অপু দু’জনেই আলাদা পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনও প্রায়ই অপুকে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সেই সম্পর্ক ও সন্তান নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

সম্প্রতি তেমনই এক অনুষ্ঠানে অপু জানালেন, আমার সেই ঘটনার পর অনেকেই মনে করেছেন, এভাবে সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে না আসলেও পারতাম বা এটা আমার ভুল ছিল। পুরো বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করতে পারতাম।

এরপর এই নায়িকা বললেন, পারিবারিকভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিবার মনে হচ্ছিল, কেউ পেছন থেকে টেনে ধরছে। যে কারণে বাধনটা ছিঁড়ে গেছে।

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারেও নায়কের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

শাকিবকে ঘিরে অপু-বুবলী একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন। দু’জন দু’জনকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ্যে কিংবা পরোক্ষভাবেই নানা মন্তব্য করেছেন। যে কারণে দুই নায়িকাকে নিয়েও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই দিন পুত্র জয়কে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অপু। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা জুটি।

এরপর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। এরপর শাকিবের এ সংসারও ভেঙে যায়।

Header Ad
Header Ad

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান’, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত পেজ থেকে একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক পবিত্র কাবাঘরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন। যা নিয়ে সকল মহলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে কে এই যুবক।

পরবর্তীতে জানা যায়, ওই যুবকের নাম হারুনুর রশিদ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরদিঘী এলাকায়। হারুনুর রশিদ টোকাই হারুন নামেও পরিচিত। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, হাইকোর্ট কর্তৃক ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা সংক্রান্ত রায় স্থগিত হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন, যদিও তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রমাণ নেই। ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় তিনি কিশোর গ্যাং গঠন করেন এবং বাগান দখল, অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাহিনী নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ এবং এলাকায় দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হারুনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। একপর্যায়ে তিনি সৌদি আরবে চলে যান এবং সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

হারুনের ফেসবুক প্রোফাইলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে তার ছবিও দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি হারুনের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়রা তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুককে (৫০) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোররাতে জেলা শহরের পলাশপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢোলভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামের মোশাররফ হোসেন নওশার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গত ২৬ আগস্ট জেলা বিএনপি ও যুবদলের অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফারুককে আদালতে হাজির করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা