চূড়ান্ত ১০ জনের নাম ৩ দিন আগে প্রকাশ করতে হবে: সুজন

অনুসন্ধান কমিটি ৩১৫ জন থেকে ৫০ জনের যে শর্টলিস্ট করেছে সেই তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি চূড়ান্ত ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার ৩ দিন আগে জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে যাতে জনগণ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে, বলেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন মত প্রকাশ করেন সুজনের বক্তারা।
সুজনের সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, নাম প্রকাশ না করলে অস্বচ্ছতা থেকেই যাবে। ফলে যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত হবে সেটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু সরকার তো সেটা করবে না। তাই জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অন্তত ইসি স্বচ্ছতার সঙ্গে গঠিত হোক।
লিখিত বক্তব্যে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বচ্ছতার প্রদর্শনের লক্ষ্যে অনুসন্ধান কমিটি জমা পড়া ৩২২ জনের (সঠিক সংখ্যা ৩১৫ জন) নাম প্রকাশ করেছে, যার জন্য আমরা কমিটিকে ধন্যবাদ দেই। তবে কমিটি যা প্রকাশ করেছে তাতে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়নি, কারণ কাদের নাম প্রস্তব করা হয়েছে তা প্রকাশ করলেও কারা প্রস্তব করেছে তা কমিটি প্রকাশ করেনি। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলে বা তথ্য গোপন করলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় না।
এক্ষেত্রে সুজন অনুসন্ধান কমিটির কাছে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো-
(১) অনুসন্ধান কমিটিকে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরাজমান আস্থার সংকট দুর করার জন্য তার কার্যপদ্ধতি অবিলম্বে জনগণকে জানাতে হবে । একইসঙ্গে কী মানদণ্ডের ভিত্তিতে ও কী পদ্ধতিতে কমিটি তার বিবেচনাধীন ব্যক্তিদের সুনাম যাচাই করবে এবং তাদেরকে অনুসন্ধান করে বের করবে তাও জনগণকে জানাতে।
(২) পরিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ তথা কোনো কিছু গোপন না করার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত ৩২২ জনের (সঠিক সংখ্যা ৩১৫ জন) নামের পাশাপাশি প্রস্তবকরারী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নাম প্রকাশ করতে হবে। প্রাথমিক তালিকা থেকে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নারীসহ ২০-৩০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে তা প্রকাশ করতে হবে । এরপর সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ব্যক্তিদের সংক্ষাৎকার গ্রহণ করা, তাঁদের সম্পর্কে শুনানী করা এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের সম্পর্কে তথ্য নিতে হবে ।
(৩) অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পরিপূর্ণ সতর্কতা ও যথাযথ বিবেচনাশক্তি কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিবেদনসহ ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণের তিন দিন আগে প্রতিবেদনটিসহ চূড়ান্ত তালিকা জনগণের প্রকাশ করতে হবে ।
(৪) অনুসন্ধান কমিটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কমিটির কাজের প্রসেডিংসহ একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে হবে ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
আরইউ/কেএফ/
