২৭ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেশে প্রথমবারের মতো সকলের গ্রহণযোগ্য এবং অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাফল্য বর্তমান প্রেক্ষিতে পুনরায় তা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। সেই বিষয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি উপযুক্ত কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ তু্লে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণে সরকারি পৃষ্টপোষকতা সিন্ডিকেট অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ধরনের সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে অতি উচ্চ ব্যয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের বাধ্য করে তাদের নিঃস্ব করার অমানবিক প্রক্রিয়াকে সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে। কর্মসংস্থানহীন যুবকরা জমি-বাড়ি, স্ত্রী অথবা মায়ের অলংকার বিক্রি করে সরকারের এহেন হীন কর্মকাণ্ডে নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হচ্ছে। বিএনপি অবিলম্বে এই সব সিন্ডিকেট ভেঙ্গে প্রকৃত ব্যয়ে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানায়।’
ক্রমবর্ধমান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ধাপে ধাপে বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের চরম দুর্নীতি, অপব্যয় এবং অপরিকল্পিত ভ্রান্ত নীতির কারণে অস্বাভাবিক হারে এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি অবিলম্বে পানি, গ্যাস, তেলের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য হ্রাসের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভূতের মুখে রাম নাম বলে একটা কথা আছে তো। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা হচ্ছে সেটাই। যারা গণতন্ত্রের কথা বিশ্বাস করে না, যারা গণতন্ত্র কোনোদিন প্র্যাকটিস করে না, প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেয় না। যখন ক্ষমতায় এসেছে সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে তারা যখন এ সমস্ত(গণতন্ত্র) কথা বলে তখন জনগন কি বিশ্বাস করে না করে তা আমার চাইতে আপনারা বেশ ভালো জানেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা যেকোনো মানুষকে জিজ্ঞাসা করবেন-একজন শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে যারা ব্যবসা-বানিজ্য করছেন, একজন অধ্যাপক, যারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না- তারা সবাই বলবে যে, এখন এই সরকারের হাই-টাইম, তাদের চলে যাওয়া উচিত। দেশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা, সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে তারা ধবংস করে দিচ্ছে। এই যে আপনারা সংলাপের কথা বলছেন। সংলাপও তো তাদের সঙ্গে আমরা করেছি। সেখানে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
এমএইচ/এসআইএইচ