বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবিঃ সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, এ দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য কালো দিন। সেনাবাহিনীর শত্রুরা সেদিন ৫৭ জন চৌকস সেনাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।
তিনি বলেন, এ দিনটাকে জাতীয় দিবস করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে।
উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নাহিদ ইসলামের আবারও রাজপথে প্রত্যাবর্তনকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া এই ছাত্রনেতাকে শুভকামনা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই করছেন পোস্ট। এদের মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ধারালো রাজনৈতিক চিন্তাধারার অধিকারী নাহিদ ইসলাম। তার বয়স মাত্র ২৬ এবং ইতিমধ্যে একজন নৃশংস স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় বিদ্রোহ নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে আরো কয়েক দশক বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকবেন। আরও লিখেছেন, আর আল্লাহ জানে, একদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নতুন এই দলের আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে নাহিদ ইসলামকে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে নাহিদ ইসলাম। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম।
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন- ঢাকার আশুলিয়ার ধানশোনা এলাকার পলাশবাড়ীর আলমগীর (৩৪) ও তার ছোট ভাই রাজিব হোসেন (২১)। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫ জন গ্রেফতার হলো।
জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আলমগীর হোসেনকে গতকাল সোমবার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সাধুরপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ‘মূলহোতা’।
এর আগে এই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার দুপুরে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে বাস ডাকাতির সময় লুট করা নগদ ৪ হাজার ২১০ টাকা ও দুইটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আলমগীর পুলিশকে জানান, বাসে ডাকাতির সময় লুট করা মুঠোফোন, গয়না ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি তার ছোট ভাই রাজিবের কাছে রয়েছে। পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতি করা ১০টি মুঠোফোন, ইমিটেশনের গয়না, তিনটি ব্যাগ, তিনজন যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরকে ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। আরও বলেন, ডাকাতিকালে ধর্ষণের ঘটনার কোনো তথ্য এখনো তাদের কাছে আসেনি। তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) চলন্তবাসে ডাকাতি ও নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে মির্জাপুর থানা থেকে টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। পরে তাকে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত হতে বলা হয়।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে ১৬৮ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ভেঙে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। র্যাপিড রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অজুহাতে মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মুসলিম মিরর।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মসজিদটি ভাঙার আগে স্থানীয় মুসলিমদের তীব্র প্রতিবাদে বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন। তবে পরে ব্যাপক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গভীর রাতে মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মতিতেই রেল প্রকল্পের জন্য মসজিদটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মসজিদের মুতাওয়াল্লি হাজি সালেহিন জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছিল, তবে মসজিদটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা এটি ভাঙতে পুরোপুরি সম্মত ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, "যোগী সরকারের চাপে পড়ে অবশেষে নতুন জায়গায় মসজিদ নির্মাণের শর্তে আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হই। আমাদের কাছে এখনো মসজিদ ও জায়গার মালিকানার দলিল রয়েছে, যেখানে প্রমাণ রয়েছে যে এটি ১৮৫৭ সালের আগেই নির্মিত হয়েছিল।"