রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মতিয়া চৌধুরী

কট্টর আওয়ামী লীগবিরোধী থেকে শেখ হাসিনার ‘একনিষ্ঠ সমর্থক’ হওয়ার গল্প

মতিয়া চৌধুরী এবং শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

মতিয়া চৌধুরী। পাকিস্তান আমলে নিজের তারুণ্যে বক্তৃতার দক্ষতার জন্য ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পান তিনি। মন্ত্রিত্বসহ প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনে বরাবরই সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন এই অগ্নিকন্যা।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাতিল হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা ছিলেন। ‘কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী’ থেকে সময়ের পরিক্রমায় মতিয়া চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও একনিষ্ঠ সমর্থক’। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হিসেবে দলীয় পরিমণ্ডলে শক্ত অবস্থান করে নিয়ে কয়েক দফায় তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদের উপনেতা হয়েছিলেন।

গবেষক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, মতিয়া চৌধুরীকে ছাত্রনেতা হিসেবে ষাটের দশকে মানুষ এক নামে চিনতো। তিনি ঝড়ের গতিতে এসে তখন তরুণদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে শেখ হাসিনাকে বেপরোয়া শাসক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার নিরঙ্কুশ সমর্থনও ভূমিকা রেখেছে।

স্কুলজীবন শেষে ইডেন কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন এবং এর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকেই তিনি ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।ওই বছরেই তিনি সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রয়াত বজলুর রহমান পরবর্তীকালে দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।

ষাটের দশকে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। সে সময় কয়েক দফায় কারাগারে যেতে হয়েছে এবং এর মধ্যে একবার টানা দুবছর জেলে ছিলেন তিনি।

ষাটের দশকেই দেশজুড়ে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত পান এবং তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। এক পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়ন দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে- তার ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে।তখন আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে না থাকলেও ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত ছয় দফার সমর্থনে ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর ১৯৬৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে। এ সময় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতনের পর আরও অনেক রাজনীতিবিদের সঙ্গে তিনিও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।

মুক্তিযুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়ন যে গেরিলা বাহিনী গঠন করেছিল, তাতেও তিনি সংগঠক ছিলেন।

তবে মুক্তিযুদ্ধের পর আবার ন্যাপের রাজনীতি শুরু করেন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক হিসেবে আলোচিত ছিলেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমালোচক ছিলেন। পরে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগেই যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। মূলত শেখ হাসিনার বিষয়ে কট্টর ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনাকে যারা ঘিরে ছিলেন এবং পরে তাকে বেপরোয়া হয়ে উঠতেও সাহায্য করেছেন- মতিয়া চৌধুরীও ছিলেন তাদের একজন।’

২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা দলটিতে সংস্কার আনার পক্ষে অবস্থান নেন। এর বিপরীতে মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যরা শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেন।পরে শেখ হাসিনা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ২০০৯ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে মতিয়া চৌধুরীর অবস্থান দলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে।

মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় জীবনের নানা উত্থান পতনে মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্ব তারা দেখেছেন।ষাটের দশকের বর্ণাঢ্য যুগে যে কয়জন ছাত্রনেতার নাম শুনেছি তার মধ্যে একজন মতিয়া চৌধুরী। তবে দীর্ঘ বাম রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্বের প্রখরতা নিয়ে তিনি হয়ে গেলেন শেখ হাসিনার অনুসারী। দলকে ইতিবাচক ধারায় রাখতে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি তিনি।’

তবে তিনি মনে করেন, মতিয়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম তাকে অনেকটা সময় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে রাখবে।এমন দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ খুব বেশি দেখা যায় না। মন্ত্রী হিসেবেও তার খুব একটা সমালোচনা নেই।

মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-১ আসন থেকে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

এরপর ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়েছিল তাকে। মন্ত্রিসভায় মতিয়া চৌধুরীর সহকর্মী সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সততা ও সাদামাটা জীবনযাপন মতিয়া চৌধুরীকে গণমানুষের নেতায় পরিণত করেছিল।তিনি ছিলেন আমাদের ছাত্রজীবনের আইকন। সব প্রগতিশীল আন্দোলনে ছিলেন সামনের সাড়িতে। মন্ত্রী হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সততা ও নিষ্ঠার প্রশ্নে কখনো তাকে আপস করতে দেখিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Header Ad
Header Ad

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন

ছবি: সংগৃহীত

ড্রেসকোড ভাঙার কারণে দাবার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যাগনাস কার্লসেনকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ৫ বারের র‍্যাপিড এবং ৭ বারের ব্লিটৎজ চ্যাম্পিয়ন এই দাবাড়ু জিন্স পরে খেলায় অংশ নিয়ে ফিদে’র নিয়ম লঙ্ঘন করেন।

র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তম রাউন্ডের পর কার্লসেনকে জিন্স পরার জন্য ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়। অষ্টম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর নবম রাউন্ডে তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্লসেন নির্দেশ অমান্য করেন। এর ফলে তাকে নবম রাউন্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

ফিদে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে “ম্যাগনাস কার্লসেন ড্রেসকোড লঙ্ঘন করেছেন। তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ এবং জরিমানা করা হয়েছিল। তবে তিনি তা মানেননি। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতহীন এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”

নরওয়েজিয়ান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্লসেন ফিদে’র এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ফিদে’র এই নিয়ম খুবই হাস্যকর। আমি নিয়মটি মানতে পারতাম, কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে চায়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

ফিদে’র ড্রেসকোড নীতিতে জিন্স নিষিদ্ধ। রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াচ্চি একবার এই নিয়ম ভেঙেছিলেন, তবে তিনি পোশাক পরিবর্তন করে খেলায় ফিরে আসেন। কিন্তু কার্লসেন পোশাক পরিবর্তনে অনাগ্রহ দেখান।

কার্লসেনের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের এই ঘটনায় দাবার জগতে শোরগোল উঠেছে। তার ভক্ত এবং সমালোচকরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন। অনেকেই ফিদে’র ড্রেসকোডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ নিয়ম মানার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।

দাবার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলায় ড্রেসকোডের প্রতি সম্মান রাখা জরুরি হলেও, এমন সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের মতামত এবং স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। ম্যাগনাস কার্লসেনের এই ঘটনা ক্রীড়া নীতিমালার প্রতি নতুন করে আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রিজার্ভ ব্যাপারে এ বিষয়টি জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে।

এ সময় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির কাশ্মীর গেটের অটো যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এবং মন্দিরে ‘আক্রমণের’ অভিযোগের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসব অভিযোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতিবাদ জানানো তাদের লক্ষ্য।

বিনয় নারাং বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটেছে, আমাদের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে এবং আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এটি খুবই অন্যায়। তাই আমরা ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে। আমরা চাই, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারুক।”

কাশ্মীর গেটের বাজারে প্রায় ২,০০০ দোকান রয়েছে, যা মারুতি, হুন্ডাই, টাটা-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ এই বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে রপ্তানি স্থগিতের ফলে অর্থপ্রদানে বিলম্ব ঘটছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি এই কঠিন সময়ে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”

দিল্লির ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকার আলোচনা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।

যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের এই ঘোষণা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তাও বহন করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন
অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি দম্পতি
নগর ভবনে স্থানীয় সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু কাল থেকে
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: মাওলানা মামুনুল হক
ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার