যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলারে লবিস্ট নিয়োগ করেছে সজীব ওয়াজেদ জয়
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতা হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ‘ওয়াজেদ ইনকরপোরেশন’-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে এই চুক্তি সম্পন্ন করেন। চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
‘চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’ বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে জানায়, চুক্তির শর্তানুযায়ী, স্ট্রেক গ্লোবাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচার বিভাগে তুলে ধরবে। ছয় মাসের জন্য করা এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকারের হয়ে কাজ করবে এই লবিস্ট ফার্ম।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। তাঁর পদত্যাগের পর দেশে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী, এবং সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার হন। অনেক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ অবস্থায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।
এটি প্রথমবার নয় যে জয় লবিস্ট নিয়োগ করলেন। ২০০৪ সালে তিনি ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, যেখানে বিএনপির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের প্রসারে ভূমিকা রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ২০১৯ সালে বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যা করার অভিযোগ তোলে।
মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রায় ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের উল্লেখ পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক দলগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে লবিস্ট নিয়োগের পথ বেছে নিচ্ছে।