সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজনীতি ছাড়তে চান আ.লীগের নেতাকর্মীরা

রাজনীতি ছাড়তে চান আ.লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মারাত্মক চাপে পড়েছে দলটি।

অথচ গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তি পালনেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে।

শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া নেতাদের মধ্যে এখনও যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘আত্মগোপনে’ আছেন।

বর্তমানে নেতৃত্ব শূন্য থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছে। তাদের অনেকেই এখন উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তারা তাদের নামও প্রকাশ করতে চাননি।

আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, আমাদের দলের এখন দিশাহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। কারণ একমাস হয়ে গেলো অথচ কেন্দ্র থেকে কার্যকর কোনো নির্দেশনা দেয়া হলো না। ফোন দিলেও কেউ ধরে না। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এখনকার যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, সেটার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ফরিদেপুরের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ক্ষমতা হারালে এমন অবস্থা যে হতে পারে, সেটা তো নেতাদের অজানা থাকার কথা না। তারাই তো এর জন্য দায়ী।

তিনি আরও বলেন, ক্রিম খাইলো নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইলো তারা; আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হইতেছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

তবে বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাত্তর সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কাজেই দেশ যতদিন থাকবে, আমাদের দলও থাকবে। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো।

হামলার ভয়ে নিজেরা গা ঢাকা দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেশিরভাগের পরিবার-পরিজন তাদের এলাকাতে রয়েছেন। তবে আয়-রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে গিয়ে অনেকের স্ত্রী-সন্তানরা বিপাকে পড়েছেন।

পালিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কাজ-কাম করবো কী করে? আর আয় না থাকলে সংসারের কী অবস্থা হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন?’।

পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি জানান, সংসার চালাতে না পেরে তার স্ত্রী প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে। তিনি বলেন, ‘এভাবে কতদিন থাকবে? ভাবতে গেলেই কান্না আসে। মনে হচ্ছে, রাজনীতি করাই পাপ হয়েছে। তাই আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিছি।’ বিবিসি বাংলাকে বলেন ফরিদপুরের ওই আওয়ামী লীগ কর্মী।

কর্মীদের মধ্যে আরও অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতা।

আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয় : গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই, শেখ হাসিনা চলে গেছে; শেখ হাসিনা পালায় না।’ অথচ এ ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসার পর গত ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান, যা এখনও মানতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে যারা চেনেন, জানেন। যারা কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, তারা কেউই এটা মানতে পারবে না। কারণ উনি মোটেও পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছেড়ে না গেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।

তৃর্ণমূলের এক নেতা বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর খালেদা জিয়া ছাড়েননি, এমনকী এরশাদের মতো স্বৈরাচারও পালায়নি। সেখানে নেত্রী কেন দেশ ছাড়লো, সেটাই আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থায় বিচারের মুখোমুখি হতে হলেও এখন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা উচিৎ।

চাপে গোপালগঞ্জের নেতারা : শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা যখন ‘আত্মগোপনে’ যাচ্ছিলেন, তখন ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজ জেলা গোপালগঞ্জে।

শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে গত ৫ আগস্টের পরপরই বেশ কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিলও করেছিলেন তারা।

কিন্তু গত ১৫ অগাস্টের পর গোপালগঞ্জেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে আর আগের মতো সক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।

মূলত সেনা সদস্যদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই তাদের উপর ‘চাপ’ ছিল, যা এখন আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad

রাতেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন সাবেক মুখ্যসচিব কায়কাউস !

ফাইল ছবি

আজ রাতেই যেকোন সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। জানা গেছে, তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছাড়াও রয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট। আর এসব পাসপোর্ট ব্যবহার করেই যেকোনো সময় এমিরেটস বিমানের একটি ফ্লাইটে করে আজ রাতেই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিতে লক্ষ্য কোটি টাকা লুটপাটকারী খলনায়কদের একজন শেখ হাসিনার সাবেক এই মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। হাসিনার সরকারের দুর্নীতিবাজ' মাফিয়া ব্যক্তিত্ব আহমেদ কায়কাউসের দুর্নীতির বড় উদাহরণ হচ্ছে এই পাসপোর্ট। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ সচিব হয়েও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হয়েছেন আমেরিকার নাগরিক। বিশ্বজুড়ে ঘোরেন দুই দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আবার সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব। এত বড় প্রতারণা জালিয়াতি কিভাবে করলেন এই কায়কাউস?

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির মহোৎসবের সময়টাতেই যেন সব অনিয়ম দুর্নীতি যায়েজ ছিলো মাফিয়া তন্ত্র কায়েমকারী সবার।

অভিযোগ রয়েছে, সুদূর আমেরিকায় কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন কায়কাউস। আমেরিকায় বাড়ি রয়েছে ডজন খানেক। এছাড়া বেনামে গড়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

আরও অভিযোগ রয়েছে, কায়কাউস তার সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে লুটেপুটে খেয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগে কোন টেন্ডার ছাড়াই একশটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দিয়েছেন। রেন্টাল- কুইক ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার কেন্দ্রগুলোকে  ক্যাপাচিটি চার্জ হিসেবে এক লক্ষ কোটি টাকা গচ্চা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগ টাকা কায়কাউস, নসরুল হামিদ বিপু, তৌফিক-ই- ইলাহী সিন্ডিকেট লুটেপুটে নিয়েছেন।

২০১৯ সালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থেকে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হন আহমদ কায়কাউস। মুখ্য সচিব পদে বসেও নিয়ন্ত্রণ করতেন বিদ্যুৎ বিভাগ । কায়কাউস আর তৌফিক-ই-ইলাহী সিন্ডিকেট গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে লুটেপুটে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ।

দুর্নীতির মাফিয়া আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হয়েও এখানেও আইন ভেঙে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা পরিষদের (ইপিআরসির) চেয়ারম্যান হন। একই সময়ে আইনের তোয়াক্কা না করে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ সিপিজিসিবিএল এরও চেয়ারম্যান হন।

এছাড়া মুখ্যসচিব থাকাকালে চট্টগ্রামে নিজ এলাকা পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর সুচক্রদন্ডী ওয়ার্ডের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ নেন কায়কাউস। অথচ কোন সংসদীয় আসনের নামেও এমন বরাদ্দ হয় না। দেশের ইতিহাসে ক্ষমতার ভয়ংকর অপব্যবহার করে নিজের ছোট্ট ওয়ার্ডের নামে বরাদ্দ নিয়ে তার পুরোটাই লুটে নেন তিনি। এতে সহায়তা করে নিজেও হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুপক সেন।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা লুটপাটে সাহায্য করার পুরস্কার হিসেবে আহমদ কায়কাউসকে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী প্রধান করেন শেখ হাসিনা।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে গুঞ্জন ওঠে দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী হচ্ছেন দেশের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড আহমদ কায়কাউস। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আর মন্ত্রী হওয়া হয়নি আহমেদ কায়কাউসের।

সৈয়দপুর রেল কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরি

ছবি: সংগৃহীত

অভিনব কায়দায় দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানায় এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা গেছে, চোরেরা গাছ বেয়ে রেলওয়ে কারখানার প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে উপকারখানায় প্রবেশ করে। এরপর কারখানার ফাউন্ড্রি শপের ফার্নেস (চুল্লি) কেটে তিন মেট্রিক টন লোহা ও চার মেট্রিক টন কয়লা চুরি করে নিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ও শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুদিন রেলওয়ে কারখানাটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ থাকে। এই সুযোগে চোরেরা গাছ বেয়ে ওপরে উঠে কারখানার সুউচ্চ প্রাচীর টপকে রেলওয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। রেলওয়ে কারখানায় মোট ২৬টি শপ (উপ-কারখানা) রয়েছে। এর মধ্যে কারখানার ফাউন্ড্রি শপে ঢুকে শপের ফার্নেস চুল্লি কেটে তিন মেট্রিক টন লোহা ও পাঁচ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যায়।

সূত্রমতে, রেলওয়ে কারখানার সুউচ্চ প্রাচীর ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এভাবে চুরির বিষয়টি অনেককে অবাক করেছে।

উপ-কারখানার নূরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শেখ হাসানুজ্জামান জানান, সুউচ্চ প্রাচীর টপকে কারখানার মালামাল চুরি আমাদের বিস্মিত করেছে। বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা, নৌকা ডুবে নিহত ৮

ফাইল ছবি

পশ্চিম ইউরোপের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, রাবারের তৈরি নৌকাটিতে ৬০ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিলেন।

অবৈধভাবে ইংল্যান্ড প্রবেশের চেষ্টায় প্রায়ই ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে প্রাণহানি ঘটে। এবারের ঘটনা দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে ঘটল। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর কয়েক ডজন অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে ছয় শিশু এবং একজন গর্ভবতী নারীসহ ১২ জন মারা যান।

ফ্রান্সের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরই এটি ডুবে যায়। বিচের উদ্ধারকর্মীরা সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ৫৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অপরদিকে ছয়জন মারাত্মকভাবে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে বলেছে, সর্বশেষ ঘটনাটি আরেকটি ভয়ংকর এবং এড়ানো যায় এমন ট্র্যাজেডি ছিল। অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুহার কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।

শরণার্থী কাউন্সিলের সিইও এনভার সলোমন বলেন, এ ধরনের মৃত্যু চাইলেই এড়ানো সম্ভব। এ জন্য নিরাপদ রুটে অভিবাসীদের গমনাগমন নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাতেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন সাবেক মুখ্যসচিব কায়কাউস !
সৈয়দপুর রেল কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরি
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা, নৌকা ডুবে নিহত ৮
ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান
সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলেন আশফাক নিপুণ
হারিয়ে যাওয়া ২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফেরত দিতে সম্মত ভারত
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডে থাকছেন যারা
নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে: মির্জা ফখরুল
১০০ কোটি নয় কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে লাগছে ১ কোটি টাকারও কম
অবশেষে মিলল শেখ হাসিনার পদত্যাগের চিঠি
রাজশাহীর সাবেক এমপি এনামুল ঢাকায় গ্রেপ্তার
নতুন ডিসির ৫৬ জনই আওয়ামী লীগের তালিকার!
গোপনে দলিলপত্র সরাচ্ছে এস আলম গ্রুপ, এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ১৫ বস্তা নথি
এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনার অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকা
পালানোর সময় কিলঘুষি দিয়ে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক
পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল
সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) আজ
মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় আদর্শ: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস