স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছবি: সংগৃহীত
ন্যায্যতা-ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ও নিরীহ মানুষের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এছাড়া দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র সংগঠনটি।
শনিবার (৪ মে) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা এবং ছাত্র সমাবেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই সাথে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহীদদের রক্তস্নাত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
‘পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’ চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বদরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম দিক ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশেয অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবি উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়।
তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নম্বর রেগুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নম্বর রেগুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।