সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনায়ন পাচ্ছেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লিলি!
যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সরকার গঠনের পর এখন সর্বত্র সংরক্ষিত নারী আসনে কারা থাকছেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্বতন্ত্ররা সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের ভাগ আরও বেড়েছে। ফলে মনোনয়নের সম্ভাবনাও বেড়েছে এবার আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নতুন মুখ সংসদের সংরক্ষিত আসনে বসতে পারেন।
আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনায়ন পাচ্ছেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
শারমিন সুলতানা লিলি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় লিলি রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ সভাপতির দ্বায়িত্বে ছিলেন। এরপর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বর্তমানে যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
শারমিন সুলতানা লিলি ছাড়াও আলোচনায় আছেন স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মারুফা আক্তার পপি, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা। সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, গত তিনবারে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দেখা গেছে জাতীয় রাজনীতি এবং সামাজিকভাবে পরিচিত মুখের তুলনায় তৃণমূলের নেতা ও রাজনীতির জন্য যেসব নেতা ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা ভুলে গেলেও দলীয় সভাপতি তাদের ঠিকই খুঁজে বের করেন। এবারও তিনি সেটাই করবেন বলে মনে করি।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যের মধ্যে হাতে গোনা দু-তিনজন ছাড়া সবাই বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ৭-১০ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে সুশীল সমাজ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাট্য ও তারকা ছাড়াও সরাসরি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েও জোটগত সমঝোতার কারণে যারা সরে দাঁড়িয়েছেন কিংবা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নানা হিসাব-নিকাশে যাঁরা মনোনয়ন পাননি, তাঁদের এবার বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে তৃণমূলের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া পরিবারের সদস্য, জেলা পর্যায়ে ত্যাগী নেত্রীরা।
এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ইচ্ছা পোষণ করেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।