আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে: ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেউ যেন বিজয় ছিনিয়ে না নিতে পারে, সতর্ক থাকুন।’
শনিবার (৬ জানুয়ারি) নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপি ও জামায়াতের ‘গুজব-প্রচারে’ বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে আবার সরকার গঠন করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব, ইনশাআল্লাহ।’
একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘নির্বাচন হয়ে যাক, কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। তাদের বিচার হবে। সন্ত্রাসী চালিয়ে বিএনপিকে কোথাও রাজপথে দাঁড়াতে দিব না। আমরা কঠোর হতে জানি, সময় মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের দোসররা অগ্নিসংযোগ, নাশকতাসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে।’
একই সঙ্গে তিনি দাবি জানান, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের সঙ্গে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না- তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারটি বগি পুড়ে প্রাণ হারান চার যাত্রী। আহত হয় আটজন। তাদের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, ৭৫-এর ঘাতক দল এদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা মানুষকে পুড়িয়ে রাজনীতি করতে চায়। কানাডার ফেডারেল রায় অনুযায়ী, বিএনপি আবারও প্রমাণ করল তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বিএনপির ভোট বর্জনের সঙ্গে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ কোনো অপশক্তির কাছে কখনও মাথানত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক সাংবাদিক যারা এসেছেন তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।’
বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যে অপশক্তি নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সন্ত্রাসীর চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কাছে আমরা এই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, তাদের (বিএনপি) গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নিয়েছে, তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করুন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন, দলে দলে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন করে ইচ্ছা ভোট দিবেন। কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। যারা ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করুন।’