অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ.লীগের শামীম হক
ছবি সংগৃহিত
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট সাঈদ রাজা ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম। এ মামলায় অ্যামিক্যাস কিউরি হিসেবে আদালতে মতামত দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম, মুরাদ রেজা ও অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তার রিট খারিজ করে বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই রায় দেয় ইসি। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শামীম হক।
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম (এ কে) আজাদ। তার আপিল মঞ্জুর করা করায় শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক—এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন।
অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকছে। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সোমবার। প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।