রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
এ কমিশনের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। এ কমিশন মৃত লাশ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে প্রয়োজনে রাজপথে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের মনে রাখা উচিত জনতার এ উত্তাল তরঙ্গ ও দুর্বার আন্দোলন পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না।
নিম্ন আদালতে প্রহসনের বিচার, ফরমায়েশি রায়, গুম ও গুপ্ত হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা বাজার থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ড. রেজাউল করিম বলেন, বিরোধী আন্দোলন দমন করতে রাজনৈতিক, নৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দিতে চায়। কিন্তু জনগণ এসব রায় মানে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর স্যাংশনের কারণে হত্যার লাইসেন্স আর পাচ্ছে না। ফলে তারা জনগণের যৌক্তিক আন্দোলন দমন ও তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যাসহ আদালতের অপব্যবহার শুরু করেছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যারা জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আদালতে তাদের বিচার করা হবে। যারা জনগণকে সহযোগিতা করবেন তাদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনকে ইন্তিকাল কমিশন উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এ নেতা বলেন, এ কমিশনের অধীনে জনগণ কোন নির্বাচন মেনে নেবে না। এ কমিশন মৃত লাশ। এ দলদাস কমিশন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন দিতে হবে দল নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার সরকারের অধীনে। জামায়াতের কারাবন্দি সকল নেতাকর্মীসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, শেখ হাসিনার আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন জনগণ বাস্তবায়ন হতে দেবে না। জনতার তোপের মুখে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও মু. আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দীন ও আব্দুর রহীমসহ অন্যান্যরা।