যিনি নিরপেক্ষ থাকবেন, তার রাষ্ট্রপতি হওয়া উচিত: ফখরুল
এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, দেশে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে সোমবার (২৪ এপ্রিল) নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি এখন বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা।
সাহাবুদ্দিন এমন এক সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন, যখন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে নীরব এক উত্তেজনা।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, ‘এই রাষ্ট্রপতি নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই তো অগণতান্ত্রিক এবং অবৈধ। সংসদে আওয়ামী লীগের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, আর বর্তমান সংসদের সদস্যরাই তাকে ভোট দিয়েছেন। অথচ এই সংসদই তো গণতান্ত্রিক নয়, দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং এর বেশি বলতে চাই না।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি পদে অবশ্যই এমন ব্যক্তির থাকা উচিত, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবেন, যার কাছে সবাই যেতে পারবেন, যার সঙ্গে সবাই কথা বলতে পারবেন। দল-মত নির্বিশেষে সর্বক্ষেত্রে তিনি একটা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন আশা করা যায় না। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আমরা কিছুই ভাবছি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনে রয়েছি। আগে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করা।’
বিএনপি এবার নিরপক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। যেকোনো মূল্যে বিএনপি নিরপক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব- এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
কেএম/এমএমএ/