কোনো মেজরের আহ্বানে দেশ স্বাধীন হয়নি: এনামুল হক শামীম
শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা ও পরাধীনতার ইতিহাসে একমাত্র জাতির পিতার নেতৃত্বে ও তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কোনো মেজরের আহ্বানে এ দেশ স্বাধীন হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে অর্জিত সবুজের বুকে লাল পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্নদাশঙ্কর রায়ের এই শব্দগুচ্ছে- ‘যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা গৌরী-মেঘনা বহমান/ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান শক্তির উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের তার ভাষণ গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে, স্বাধিকারের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে এক ঐতিহাসিক দলিল। ওই ভাষণ একটি জাতিকে জাগ্রত করেছে, এমন ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, জাতির বীর সন্তানদের কাছে আমরা চিরঋণী। আপনাদের এই ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। আপনাদের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। আপনাদের জন্য আমরা গর্বিত। যতদিন বাংলাদেশ ও সবুজের বুকে লাল পতাকা থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চির অম্লান হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো সরকারপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কিছু করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, ভ্রমণ এবং ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা করেছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া তাদের কেউ সম্মান করেননি।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মজিবর রহমান খান প্রমুখ।
এসজি