মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের কদর

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। সেই নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে তা নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ভিন্ন মত।

আওয়ামী লীগ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

এই অবস্থায় দেশের রাজনীতিতে গত কিছুদিন ধরেই তৎপরতা বেড়েছে বিদেশি কূটনীতিকদের। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোর নেতারা প্রায় দিনই যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। যোগাযোগ রাখছেন নিয়মিত।

এই সুযোগে বিদেশিরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছেন। আগামী নির্বাচন ইস্যুতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে বেশি সরব ঢাকায় নিযুক্ত কূটনৈতিকরা। তারা যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণে তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, তেমনি রাজনৈতিক নেতাদেরও ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের বাসা-অফিসে। শুধু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেই নয় বরং সুশীল সমাজ, ব্যবসায়িক সংগঠন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গেও কূটনীতিকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, বৈঠকও করছেন।

রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকে কাছে টানতেই রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যদিও এই ধরনের প্রতিযোগিতা এবারই নতুন নয়। দেশের রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দেওয়ার ঘটনা আগেও ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিযোগিতার কারণেই বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বেড়েছে দেশের রাজনীতিতে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। ইসির অধীনেই হবে নির্বাচন। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসের কূটনৈতিকদের এ বিষয়ে সজাগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে কূটনীতিকরা চাইছেন সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন।

বিএনপির কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগামী নির্বাচন ও আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান জানতে চেয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনার। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে দলটির নেতারা সাফ জানিয়ে দেন— দলীয় সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। বরং যত দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে, তত দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ক্ষমতাসীনদের প্রতি রাজপথ আন্দোলনের পাশাপাশি বিদেশি চাপ সৃষ্টি করতে এবার কূটনৈতিক লড়াইয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে কূটনৈতিক লড়াই চালাচ্ছেন বিএনপির হাইকমান্ড নিজেই। আর ঢাকায় অনেকটাই ভিন্ন কৌশলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে গড়ে উঠা সাপে-নেউলে সম্পর্কের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন কূটনৈতিকরা।

সংশ্লিষ্টদের বলছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না পাওয়ায় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশায় বিদেশিদের সহায়তা চাওয়া এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা বরাবরই বিদেশিদের তৎপরতার বিরোধিতা করেন। আর যারা ক্ষমতার বাইরে থাকেন তারা বিদেশিদের সহায়তা চান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষক কমিটির একজন সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের কূটনীতিকদের কাছে দৌড়ঝাঁপ নতুন নয়। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগ বেশি দৌড়ঝাঁপ করেছে। এখন হয়ত বিএনপির দৌড়ঝাঁপ কিছুটা লক্ষণীয় হয়ে উঠছে। কারণ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে অবগত। এখন তারাও জনগণের প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিক দলগুলোকেই সমাধান করতে হবে। অন্যথায় ২০০৫ সালে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে যে রাজনৈতিক বিরোধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সেটা আবারো দেখা যাওয়ার শঙ্কা থাকছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই বাংলাদেশের রাজনীতি আর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকসহ প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে বড় দলগুলোর যোগাযোগ বেড়ে যায়। কখনো কখনো তাদের উৎসাহী অবস্থান কূটনীতিকদের নাক গলানোর সুযোগ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়েও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি নেতাদের বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ প্রমাণ করে তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কত নাজুক। দলটি এখন দেশের নির্বাচনে বিদেশিদের প্রভাব কাজে লাগানোর চেষ্টায় ষড়যন্ত্র করছেন।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারের নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে কখনো নিজেদের বাসায় আবার কখনো হোটেলে নিয়ে বসছেন প্রভাবশালী দেশের হাইকমিশনাররা।

সর্বশেষ গত ২২মার্চ দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে তার বাসভবনে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতারা এতে অংশ নেন।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের শোবিজ অঙ্গনের মধ্যে বদলে যাওয়া এক অভিনেত্রী রুনা খান। যিনি সব সময় নিজের মতো করে বাঁচতেই পছন্দ করেন। তার ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় দুই দশকের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ধরে রেখেছেন নিজের রূপ, লাবন্যও।

বর্তমানে রুনার বয়স চল্লিশের কোটায়। এই বয়সে এসে এখনও আবেদনময়ী রুনা খান। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তার এই বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে অকপটে কথা বলতে দেখা গেল রুনা খানকে।

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় মজার ছলে প্রসঙ্গ ওঠে, রুনাকে এই বয়সে এখনও কেউ দুষ্টু বার্তা, কিংবা কোনো প্রস্তাব পাঠায় কিনা! খানিকটা হেঁসে রুনা বললেন, ‘আমারই সমবয়সি অপূর্ব, নিশো। ওরাও তো দেখতে আকর্ষণীয়। ওদেরকে তো এই প্রশ্ন করা হয় না; তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, তারপরও কেন আকর্ষণীয় লাগছে! তো ৪০-৪২ বছর বয়সী অপূর্বকে, শুভকে সুন্দর-আকর্ষণীয় দেখালে ৪০-৪২ বছর বয়সী রুনা খান, বাঁধনদেরকেও সুন্দর, আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, একই জিনিস।’

রুনা বলেন, ‘আমরা আসলে নারীদের ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন করতে, ভাবতে ভালোবাসি আমরা, এটা আমাদের অভ্যস্ততার ব্যাপার।’

তবে সুযোগ পেলে বয়স আশিতে গিয়েও মডেলিং ও অভিনয়ে যুক্ত থাকবেন বলে আশাবাদী রুনা খান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার কাছে আসলে সৌন্দর্যের প্রতীক আমার মা। এছাড়াও শর্মীলা (শর্মীলা আহমেদ) আন্টি, দিলারা জামান, তারা। আমি যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ থাকি তাদের বয়স পর্যন্ত, তাহলে ওনাদের মতো হতে চাই। তারা আশি বছর বয়সে গিয়েও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিংবা আইস টুডের কাভার মডেল হতে পারেন।’

বছর কয়েক ধরে নিজের ওজন কমিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন রুনা খান। ৪১ শে এসেও সমানতালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন রূপের দ্যুতি। আবার কখনও সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরে তাক লাগিয়েও দেন অনুরাগীদের। এ নিয়ে কখনও বিতর্কিতও হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এসব কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন রুনা খান, সাফল্যের মুখ দেখছেন অনায়াসেই।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই, কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট 'অসময়'-এ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে রুনা মনে করেন, 'অসময়' তাকে সুসময় এনে দিয়েছে। এখন ওয়েব কনটেন্টে কাজ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছেন সিনেমাতেও।

Header Ad

চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত

নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে আদালত ভবনের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশের পর বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে দেয় সনাতনীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আদালত ভনের সামনেই প্রিজন ভ্যান আটকে রাখার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বললে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চড়াও হয়।

এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সংঘর্ষে জড়ায়। সেই সংঘর্ষ আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে আদলতের সামনের সড়কেও। আদালত ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পর তারা সেখান থেকে যেতে যেতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় ইসকনের সমর্থকরা।

এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় সাধারণ ছাত্র-জনতার সাথেও সংঘর্ষে জড়ায় চিন্ময়ের অনুসারীরা।

Header Ad

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হওয়ার ২২ দিন পর মারা গেছেন সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ (৪৮)। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নওগাঁ শহরের সাহাপুর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

গত ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদকে গুলি করে। এ সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার পর থেকে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মজিদ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদের সঙ্গে বিরোধে সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২ নভেম্বর রাতে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আব্দুল মজিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুল মজিদকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিৎকিসা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বজনেরা গতকাল সোমবার সকালে তাঁকে নওগাঁয় নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর গতকাল রাতেই তাঁর শারিরীক অসুস্থতা বেড়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মজিদের মৃত্যু হয়। আহত হওয়ার ২২ দিন পর যুবদল নেতা মজিদের মৃত্যু হলো। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাদ জোহর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সাহাপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আব্দুল মজিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি আরিফ দেওয়ানসহ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম