দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান: মির্জা ফখরুল
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব নাগরিক স্বাধীনতা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের উপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভীষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সঙ্গে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক অবৈধ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে।
এমএইচ/এসজি