আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি দূরভিসন্ধিমূলক: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎখাত থেকে সর্বোচ্চ লুটপাট করেছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি প্রকাশ করা হয়নি। অসম ও দূরভিসন্ধিমূলক চুক্তি এটি। ২০১৭ সালে চুক্তি করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে হয়েছে এই চুক্তি, এটা সন্দেহজনক। আদানির বিদ্যুৎ এলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মহাবিপর্যয়ে বিদ্যুৎ খাত: গভীর খাদে অর্থনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উপর এই সরকারের কোনো দয়া মায়া নেই। সরকার সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা কেটে বিদেশে পাচার করছে। সরকার তাদের আখের গোছাতে, টাকা দিয়ে নির্বাচন কেনার জন্য, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংগঠনকে কেনার জন্য বিভিন্ন খাত থেকে লুটপাট করছে। এবার ভিডিপি-আনসারকে নির্বাচনে কারচুপির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ লুট করছে। প্রতারণা ছাড়া সরকারের নতুন কোনো কৌশল নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, ভারতের আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে করা চুক্তি দেশ বিরোধী ও জনবিরোধী। অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎখাতে দায়মুক্তি দিয়ে যে আইন করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। মানুষকে বোকা বানাতে বানাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করার জন্য, না হয় এদেশ বাঁচবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা যে নামেই হোক নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
দেশকে বাঁচাতে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন জনমত তৈরি করি, বিএনপির ১০ দফা মানতে সরকারকে বাধ্য করি।
এসএন