’বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়ার গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে পিলখানা ট্রাজেডির শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, এ ঘটনার দিন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। বেগম খালেদা জিয়া সচরাচর সকালে ঘুম থেকে ওঠেন না। কিন্তু সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গাড়িতে করে দুই দিনের জন্য কোথায় যেন চলে যান। লন্ডন থেকে তারেক রহমান তাকে একাধিকবার ফোন দিয়েছেন, কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের মামলার চূড়ান্ত রায় কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি এই বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত রায় কার্যকর করতে পারব।
আজ সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর তিন বাহিনীর প্রধানরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধানের পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় স্বজনরা নারকীয় সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকরের দাবি করেন। স্বজনরা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরও সে ঘটনায় করা দুটি মামলা এখনো ঝুলে আছে। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় নিহত শহীদদের প্রতি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলায় ৮৪৬ জনকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। আর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরএ/