মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

তারেকের ইচ্ছায় পূরণ হবে বিএনপির শূন্যপদ

সাত বছর ধরে কাউন্সিল হয় না বিএনপির। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক পদই গত প্রায় সাত বছরে শূন্য হয়ে গেছে। বিএনপি নেতৃত্ব চলছে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ৭ম কাউন্সিল না হওয়ায় দলে নতুন নেতৃত্বও আসেনি।

তা ছাড়া, কাউন্সিল করলে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দল থেকে বাদ পড়তে পারেন এই কারণে কাউন্সিল থেকে পিছিয়ে আছে বিএনপি।

এই অবস্থায় দলটির স্থায়ী কমিটিসহ জাতীয় কমিটির বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণ করতে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হয়ে লন্ডন থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্দান্ত না পাওয়ায় সেগুলো পূরণ করা যাচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময় বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে নানামুখি কর্মসূচী পালন করছে। এই সময়ে দলের শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে দলের ভেতর থেকে দাবি উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ সকল পর্যায়ে কমিটিতে থাকা শূন্যপদ পূরণ এবং বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফেরাতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকাপ্রকাশ-কে জানিয়েছে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হবে না। কাউন্সিল করার ইচ্ছাও নেই। তাই দলে এখন শূন্যপদ পূরণের তোড়জোড় আছে। এর মধ্যে হাইকমান্ড কাজ শুরু করেছেন। দুর্দিনে যারা বিএনপির বিশেষ করে জিয়া পরিবারের পাশে আছে, নানা প্রতিকূল পরিবেশেও দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এমন পরীক্ষিত ও ত্যাগী প্রবীণ নেতার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নেতাদেরও কমিটিতে স্থান দিতে চায় দলটির হাইকমান্ড। শিগগিরই শূন্যপদগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করা হবে। যদিও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এই বিষয়ে সুনিদিষ্ট করে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শূন্যপদ পূরণ কার্যক্রমের বিষয়ে এই মুহূর্তে দপ্তর অবগত নয়। এই বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। উনি যাকে যোগ্য বলে মনে করবেন তাকেই পদায়ন করা হবে। দলের গঠনতন্ত্রে এই বিষয়ে উনাকে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে।’

বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। দরটির ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন বছর মেয়াদি কাউন্সিলের হিসেবে ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হয়েছে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। ইতিমধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু গত প্রায় সাত বছরেও ৭ম কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি। সরকারের দমন পীড়ন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বিবেচনায় কাউন্সিলের উদ্যোগও নেয়নি দলটি। তবে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য হচ্ছে, মূলত কাউন্সিল হলে দলটির নেতৃত্বদানে সাংগঠনিক যোগ্যতা হারাবেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। সেই কারণেই কাউন্সিল ছাড়াই সংগঠনকে গতিশীল করতে শূন্যপদ পূরণে বার বার বিএনপি হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলনকে সামনে রেখেই সারাদেশে তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন আন্দোলনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, তেমনি নির্বাচনের সময়েও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলবে। ফলে সারা দেশের জেলা, মহানগরের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণে উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এরই মধ্যে শূন্যপদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করা হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খোঁজ নিয়ে এসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের পদায়ন শুরুর চিন্তা ভাবনা করছেন।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির যে সব পদ শূন্য রয়েছে সেগুলোতে নতুন মুখ আসছে এবং আসবে। সর্বশেষ ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে রকিবুল ইসলাম বকুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে বুঝা যাচ্ছে শূন্যপদে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে এখন যেহেতু হাজারও নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। তাই মূলত এমন অবস্থায় নতুন করে দলের জাতীয় কাউন্সিল করার মতো পরিস্থিতি নেই। এখন স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন পর্যায় থেকে পরিবারের সদস্য ও তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অন্তর্ভুক্তির দাবিও উঠে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠকে এবং কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নেন না তিনি। সালাহ উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন ভারতের শিলংয়ে। মামলা জটিলতায় দেশে ফিরতে পারছেন না। কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তারও কোনো ঠিক নেই। বয়সের কারণে বৈঠকে অনিয়মিত ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তবে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু সেসব উদ্যোগও খুব একটা সফলতার মুখ দেখেনি।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শূন্যপদগুলোতে অভিজ্ঞ নেতাদের নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতারা। এতে বাগড়া দেন স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শূন্যপদগুলোতে ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতাদের নেওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান জানান। মূলত এ কারণেই স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলোতে কাউকে নেওয়া হয়নি। তবে ২০১৯ সালের জুন মাসে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে নেওয়া হয়।

বর্তমানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে পারেন এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ। ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার তালিকায় রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুনুর রশীদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি এখন প্রবীণ ক্লাবে পরিণত হয়েছে। যারা নেতৃত্বে আছেন সবারই বয়স হয়েছে। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নেই ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কোনো নেতৃত্ব। এ জন্য স্থায়ী কমিটিতে তরুণদের জায়গা করে দেওয়া উচিত। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন সেটি নির্ভর করছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তের উপর।

আইনি জটিলতায় খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হওয়ার কারণে স্থায়ী কমিটির পুরো কর্তৃত্ব এখন তারেক রহমানের হাতেই। তিনি যাদেরকে মনে করবেন তাদেরকেই কমিটিতে নেবেন। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এটা এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্য কারও কোনো বক্তব্যে থাকার কথা নয় বলে মনে করেন তারা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় আসলে সবাইকে নিয়ে, বিশেষ করে যারা আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি, তারা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করবো। এটাই বিএনপির পরিকল্পনা। তাই সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্য যাতে বিনষ্ট না হয়।

মঙ্গলবার (৪মার্চ) বেলা ৩টায় লক্ষ্মীপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, বর্তমানে একদিকে সংস্কার আর অন্যদিকে নির্বাচন খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ চারদিকে আমরা অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। এগুলো আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এসব ব্যাপারগুলোকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের সুদৃঢ় ঐক্যটা থাকা প্রয়োজন। এটাই হোক আমাদের আগামী দিনের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মানুষকে জিম্মি করেছেন, গুম-খুন করেছে, লুটপাট করেছে এবং এ লুটপাটের টাকা তারা দেশের বাইরে পাচার করেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু হাসিনার দোসররা সবাই পালিয়ে যায়নি। তারা ওই লুটের টাকা দিয়ে এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশ যেন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না থাকে এবং সঠিক সময়ে যাতে নির্বাচন না হতে পারে এজন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের খুব বেশি সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।

পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কলেজ রোড ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা মাহাবুব আলম মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. হাসিবুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আবদুর রব শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. মহসিন কবির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম, সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় বিল্লাল হোসেন (৩৮) নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার নল্যা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিল্লাল জামালপুরের চাকথহ সরদারবাড়ী এলাকার জাহেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জামালপুরগামী রাজ-রাজীব এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার নল্যা বাজার এলাকায় পৌঁছলে মধুপুরগামী একটি সিএনজির সংঘর্ষ হয়।

এতে সিএনজি চালকসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিএনজি চালক বিল্লালকে মৃত ঘোষণা করে। আহত দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম শহিদুল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন করে আসন সংরক্ষিত থাকবে।

সোমবার (৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগের নিয়ম বাতিল করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে পূর্বের ৫ শতাংশ কোটার আদেশ পরিবর্তন করে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন আসন সংরক্ষিত থাকবে। ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা সরকারি গেজেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত গেজেট যাচাই করেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী উপযুক্ত আবেদনকারী পাওয়া না যায়, তাহলে ওই আসন মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করিয়ে পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বাতিল করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন
জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য: আমিনুল হক
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ও শেখ হাসিনার বৈঠক, যা জানা গেল
৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮