বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তারেকের ইচ্ছায় পূরণ হবে বিএনপির শূন্যপদ

সাত বছর ধরে কাউন্সিল হয় না বিএনপির। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক পদই গত প্রায় সাত বছরে শূন্য হয়ে গেছে। বিএনপি নেতৃত্ব চলছে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ৭ম কাউন্সিল না হওয়ায় দলে নতুন নেতৃত্বও আসেনি।

তা ছাড়া, কাউন্সিল করলে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দল থেকে বাদ পড়তে পারেন এই কারণে কাউন্সিল থেকে পিছিয়ে আছে বিএনপি।

এই অবস্থায় দলটির স্থায়ী কমিটিসহ জাতীয় কমিটির বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণ করতে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হয়ে লন্ডন থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্দান্ত না পাওয়ায় সেগুলো পূরণ করা যাচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময় বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে নানামুখি কর্মসূচী পালন করছে। এই সময়ে দলের শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে দলের ভেতর থেকে দাবি উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ সকল পর্যায়ে কমিটিতে থাকা শূন্যপদ পূরণ এবং বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফেরাতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকাপ্রকাশ-কে জানিয়েছে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হবে না। কাউন্সিল করার ইচ্ছাও নেই। তাই দলে এখন শূন্যপদ পূরণের তোড়জোড় আছে। এর মধ্যে হাইকমান্ড কাজ শুরু করেছেন। দুর্দিনে যারা বিএনপির বিশেষ করে জিয়া পরিবারের পাশে আছে, নানা প্রতিকূল পরিবেশেও দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এমন পরীক্ষিত ও ত্যাগী প্রবীণ নেতার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নেতাদেরও কমিটিতে স্থান দিতে চায় দলটির হাইকমান্ড। শিগগিরই শূন্যপদগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করা হবে। যদিও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এই বিষয়ে সুনিদিষ্ট করে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শূন্যপদ পূরণ কার্যক্রমের বিষয়ে এই মুহূর্তে দপ্তর অবগত নয়। এই বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। উনি যাকে যোগ্য বলে মনে করবেন তাকেই পদায়ন করা হবে। দলের গঠনতন্ত্রে এই বিষয়ে উনাকে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে।’

বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। দরটির ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন বছর মেয়াদি কাউন্সিলের হিসেবে ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হয়েছে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। ইতিমধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু গত প্রায় সাত বছরেও ৭ম কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি। সরকারের দমন পীড়ন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বিবেচনায় কাউন্সিলের উদ্যোগও নেয়নি দলটি। তবে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য হচ্ছে, মূলত কাউন্সিল হলে দলটির নেতৃত্বদানে সাংগঠনিক যোগ্যতা হারাবেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। সেই কারণেই কাউন্সিল ছাড়াই সংগঠনকে গতিশীল করতে শূন্যপদ পূরণে বার বার বিএনপি হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলনকে সামনে রেখেই সারাদেশে তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন আন্দোলনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, তেমনি নির্বাচনের সময়েও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলবে। ফলে সারা দেশের জেলা, মহানগরের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণে উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এরই মধ্যে শূন্যপদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করা হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খোঁজ নিয়ে এসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের পদায়ন শুরুর চিন্তা ভাবনা করছেন।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির যে সব পদ শূন্য রয়েছে সেগুলোতে নতুন মুখ আসছে এবং আসবে। সর্বশেষ ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে রকিবুল ইসলাম বকুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে বুঝা যাচ্ছে শূন্যপদে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে এখন যেহেতু হাজারও নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। তাই মূলত এমন অবস্থায় নতুন করে দলের জাতীয় কাউন্সিল করার মতো পরিস্থিতি নেই। এখন স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন পর্যায় থেকে পরিবারের সদস্য ও তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অন্তর্ভুক্তির দাবিও উঠে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠকে এবং কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নেন না তিনি। সালাহ উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন ভারতের শিলংয়ে। মামলা জটিলতায় দেশে ফিরতে পারছেন না। কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তারও কোনো ঠিক নেই। বয়সের কারণে বৈঠকে অনিয়মিত ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তবে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু সেসব উদ্যোগও খুব একটা সফলতার মুখ দেখেনি।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শূন্যপদগুলোতে অভিজ্ঞ নেতাদের নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতারা। এতে বাগড়া দেন স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শূন্যপদগুলোতে ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতাদের নেওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান জানান। মূলত এ কারণেই স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলোতে কাউকে নেওয়া হয়নি। তবে ২০১৯ সালের জুন মাসে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে নেওয়া হয়।

বর্তমানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে পারেন এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ। ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার তালিকায় রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুনুর রশীদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি এখন প্রবীণ ক্লাবে পরিণত হয়েছে। যারা নেতৃত্বে আছেন সবারই বয়স হয়েছে। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নেই ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কোনো নেতৃত্ব। এ জন্য স্থায়ী কমিটিতে তরুণদের জায়গা করে দেওয়া উচিত। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন সেটি নির্ভর করছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তের উপর।

আইনি জটিলতায় খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হওয়ার কারণে স্থায়ী কমিটির পুরো কর্তৃত্ব এখন তারেক রহমানের হাতেই। তিনি যাদেরকে মনে করবেন তাদেরকেই কমিটিতে নেবেন। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এটা এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্য কারও কোনো বক্তব্যে থাকার কথা নয় বলে মনে করেন তারা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়