শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে: পীর চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহরাতাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। এ দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, ‘নীতি ও আদর্শের ক্ষেত্রে অটল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিগত ৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে যারা রাজনীতি করেছে তারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে নাই, এ কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল আয়োজিত জাতীয় ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের চলমান অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র পথ হলো ইসলামকে বিজয়ী করা। সুতরাং সকল ইসলামী দলের সমন্বয়ে মজবুত ইসলামী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।’

রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাই মাহফিলের মঞ্চ হক্কানী ওলামাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ওলামাদের সহযোগিতা থাকলে কোন ষড়যন্ত্র এই কাফেলা ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরাম যে যে পস্নাটফর্মে থেকে ভালো কাজ করছে আমাদের সকলের উচিত সে ভালো কাজের প্রশংসা করা। ওলামায়ে কেরামের চোখ কান খোলা না থাকলে উম্মাহ ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং ওলামাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। বর্তমান সরকারের উপর সওয়ার হয়ে একদল নাস্তিক সিলেবাসের মাধ্যমে জাতিকে নাস্তিক বানানোর পায়তারা করছে।
ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে এধরনের যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বদলীয় জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারলেই কেবল আমরা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শায়খ জাকারিয়া রহ. ইসলামী রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, অতীতের ওলামাদের মিমাংশিত বিষয় যেমন-আক্বিদা, আমল ও রাজনীতির বিষয়ে নতুন কিছু মানা যাবে না। চরমোনাই বুজুর্গরা যেভাবে চলছেন এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে এক সময় ঐক্য হয়ে যাবে ইনশাআলস্নাহ।

ঢাকা নগরের পীর মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ঐক্য করতে হবে কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে। শরীয়তের সঙ্গে ঐক্য না হলে কাজ হবে না।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আলেম ওলামাদের কাজ শুধু মসজিদে মাদরাসায় নয়, দেশের কোন সেক্টর কোথায় কীভাবে চলবে তার নির্দেশ দেওয়া ও দেখা শোনা করা তাদের দায়িত্ব। গত ৫০ বছরে শোষক ও শোষিত বলে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম ৭১ এ জামায়াত জালিম ও মজলুমের লড়াইয়ে জালিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

ওলামা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নুর আজিজী, খুলনা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাও. মোশতাক আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জোবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহিবুল্লাাহ, বিশিষ্ট আলেম মাও. ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এর সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা শাহ আলম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ফারুখ আহমেদ, মুফতি হাফিজুর রহমান গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি গোলামুর রহমান, হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মাও. জোনায়েদ বিন জালাল, মাও. ইসমাইল মাদানী, মাও. আকরাম হোসেন, অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাও. ইমতিয়াজ আলম, মাও. আশিকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস মুফতি আজিজুল হক, মাও. হোসাইন আহমেদ, জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তাজুল ইসলাম, মুফতি মজিবুর রহমান, মাও. ইকবাল সিরাজী, মুফতি ওমর ফারুক, মাও. আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতি লিয়াকত আলী, মাও. আবদুর রাজ্জাক কাসেমী, মাও. হারুনুর রশিদ কাসেমী, মুফতি রেজওয়ান রফিকী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, শ্রমিক আন্দোলন সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাও. মীর আহমদ মিরু, কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল বাতেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মাওলানা বজলুর রহমান খান, ফেনী ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী ইউসুফ কাসেমী এবং ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

এদিকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৮.৩০টায় হযরত পীর চরমোনাই'র আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। চরমোনাই মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে মোট ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন বলে চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। তাদের নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার