শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘কাজী আরেফ ছিলেন বাঙালি রাজনীতির ইতিহাসের বাতিঘর’

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কাজী আরেফ আরেফ আহমেদ বাঙালি রাজনীতির ইতিহাসে একটি বাতিঘর। কাজী আরেফ আহমেদ বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসের ক্রান্তি লগ্নে কায়েকটি মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় বদলকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘৬০ দশকে যখন জাতির সামনে প্রশ্ন দেখা দিল, পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ, ইসলামি জাতীয়তাবাদ, না বাঙালি জাতীয়তাবাদ-কোন পথে যাবে? তখন কাজী আরেফ আহমেদ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রণী সংগঠক, জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী গণআন্দোলনের নেতা, সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঐতিহাসিক গণআদালত গঠন ও গণআন্দোলনের নেতা শহীদ কাজী আরেফ আহমেদের ২৪তম হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাসদ সভাপতি বলেন, যখন প্রশ্ন দেখা দিল, পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাসনের অধিকার অর্জন, নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে বাঙালি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা? কাজী আরেফ আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পথে পরিচালিত করতে এগিয়ে যান।

তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে যখন প্রশ্ন দেখা দিলো, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয়ে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন, নাকি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার গঠন? তখন কাজী আরেফ আহমেদ বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করলেন। তার বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ায় ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পরিত্যাগ করে জাসদ গঠন করেছেন।

ইনু বলেন, সংবিধান লংঘন করে অবৈধ ক্ষমতা দখলদার সামরিক শাসকদের সাজানো বানানো গণতন্ত্র চর্চা হবে, নাকি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসকদের উচ্ছেদ করা হবে? কাজী আরেফ আহমেদ গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসকদের উচ্ছেদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের নামে রাজাকারদের মাপ করে দিয়ে রাজাকারদের সঙ্গে মিলেমিশে তথাকথিত শান্তির পথে থাকা, নাকি রাজাকারদের বিচার করা, রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্ছেদ করা হবে? কাজী আরেফ আহমেদ মাঠ থেকে উচ্ছেদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিলেন।’

জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের বিশ্বাসঘাতকতা করে খুনী মোস্তাক ও জিয়া যখন স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা শুরু করে তখন কাজী আরেফ আহমেদ স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের বিরোধকে অমোচনীয় অমীমাংসের রাজনৈতিক বিরোধ হিসাবে চিহ্নিত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক তত্ত্ব বিনির্মাণ করেন এবং অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল শক্তির বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেন।

ইনু বলেন, কাজী আরেফ আহমেদ তার দূরদৃষ্টি দিয়ে দেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য একটি বিপদ। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিরপদ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানপন্থী সকল সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ছোবল মারছে। আঘাত হানছে। বিএনপি ও এর রাজনৈতিক সঙ্গীরা নির্বাচনকে ঢাল বানিয়ে বাংলাদেশকে তালেবানি পথে নিতে দেশে সংবিধান বিরোধী ভুতের সরকার আনতে চাচ্ছে।

ইনু বলেন, ভুতের সরকার আনার অপরাজনীতি বন্ধের মন্ত্র ও কবজ সংবিধানেই আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কোনো দিনই ভূতের মতো উল্টা দিকে হাটবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোজা পথে উন্নয়ন-সমৃদ্ধি পথেই দৌঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই বাংলাদেশের রাজনীতির একমাত্র পথ। সংবিধানের পথ থেকে বিচ্যুৎ করার অপরাজনীতি রুখে দেওয়া হবে।

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি ফজলুর হমান বাবুল, কাজী আরফে আহমেদের অনুজ কাজী মাসুদ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, জাসদের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান ঝলমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মো. মোহসীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস বেপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

সভার শুরুতে শহীদ কাজী আরেফ আহমেদ, শহীদ লোকমান হোসেন, শহীদ ইয়াকুব আলী, শহীদ ইসমাইল হোসেন তপস ও শহীদ সমসের মন্ডলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ