বিদেশিদের পেছনে দৌড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ: আমির খসরু
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকার কথায় কথায় বলে আমরা বিএনপি নাকি বিদেশিদের পেছনে দৌড়াই; আসলে আমরা নই। এই আওয়ামী লীগ ও সরকার বিদেশিদের পেছনে দৌড়াচ্ছে।
তিনি বলেন. ‘আওয়ামী লীগ ও সরকার বিদেশিদের পেছনে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। বাংলাদেশসহ বিদেশিদের কাছে তাদের আসল চেহারা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
আমির খসরু বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর এই সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে, গুলি করেছে, লুট করেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করেছে। অথচ সম্প্রতি তারা ননপেপার অর্থ্যাৎ সাদা কাগজে ওই দিনের ঘটনার বিপরীত চিত্র তুলে ধরে দেশে অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় বিদেশিদের পেছনে কারা দৌড়ায়। সাদা কাগজে প্রতিবেদন দিয়ে তারা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, তারা দোষী নন। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ ও বিশ্ব দেখেছে আসল দোষী তারাই।
তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। দেশের জনগণের মধ্যে ইতিমধ্যে এই সরকার বাতিল করেছেন; নিঃসন্দেহে বিশ্ব পরিমণ্ডলেও বাতিল হয়ে গেছেন। তাদেরকে বিদায় হতে হবে। যেকোনো মূল্যে প্রয়োজনে জীবনের বিনিময়ে হলেও এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আন্দোলন সফল হবে।’
সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, হত্যা গুম খুন নির্যাতন করে কাউকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটাব। কারণ, দেশের মানুষ ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন তারা এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন তারাই সরকার গঠন করবে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জনগণ যখন বেরিয়ে আসবে তখন আপনাদের প্রত্যেকটি গুলি প্রতিরোধ করবে। সরকার নয়; জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করুন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বাক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি ভেসে আসে নাই। অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে ছিল, আছে এবং রাজপথেই থাকবে। অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, গ্রেপ্তার আরও হবে কিন্তু আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে আমান উল্লাহ বলেন, কে কোথায় কাকে গ্রেপ্তার করছেন, মামলা দিচ্ছেন, হয়রানি করছেন, নির্যাতন করছেন সেই তালিকা আমাদের কাছে আছে। সেই তালিকায় থাকবেন না, নিরপেক্ষ থাকুন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন না। এমন আন্দোলন শুরু হবে যেই আন্দোলনে শেখ হাসিনা বিদায় নেবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/