স্লোগানে মুখরিত গোলাপবাগ মাঠ, রাতেই পরিপূর্ণ!
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরপরই কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হন গোলাপবাগ মাঠে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় দলে দলে স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীরা মাঠে আসছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের প্রবেশ মুখ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে। এ ছাড়া অনেকেই হেঁটে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসেন। মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেই স্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
মাঠের পূর্বপাশে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের পাশ দিয়েও নেতা-কর্মীদের মাঠে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
কুষ্টিয়া থেকে গোলাপবাগ মাঠে এসেছেন রাকিবুল ইসলাম পিনো। তিনি কুষ্টিয়া ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক। তিনি বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে চার দিন আগে ঢাকায় আসি। এতদিন অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম। অনুমতি পাওয়ার পরপরই আমরা মাঠে চলে আসি। এটা আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জিততেই হবে।
শুধু রাকিবুলই নয়, সিলেট থেকে সমাবেশে আসা লিটন আহমেদ বলেন, সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উল্লাস বিরাজ করছে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে আসা যুবদল নেতা মোখলেসুর রহমান বলেন, গণসমাবেশে যোগ দিতে আমরা সোমবার ঢাকায় আসি। প্রথমে ফকিরাপুলের একটি হোটেলে উঠলে পরে পুলিশ আমাদের হোটেল থেকে বের করে দেয়। এরপর আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করি বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে। কিন্তু সেখান থেকেও আমাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই রাত কমলাপুর স্টেশনে রাত্রি যাপন করি।
মাদারীপুরের শিবপুর থেকে আসা ছাত্রদল নেতা আমিনুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি করার অপরাধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা আমার বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। জীবনের আর কোনো মায়া নেই, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এ সরকারের পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে আসা এক বৃদ্ধ বলেন, আমি বিএনপির কোনো পদ পদবিতে নেই। তবে এ সরকার পতনের সমাবেশে উপস্থিত থাকা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। তাই আমি বুধবারই ঢাকায় এসেছি। তিনি উত্তরায় এক ভাগিনার বাসায় উঠেছেন বলে জানান।
এমএইচ/এসজি