শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে: কাদের
শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে, বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৫ থেকে নেমে সর্বশেষ ৮ দশমিক ৮৫ এ এসেছে। রপ্তানি আয় আবারও বাড়ছে; বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে, বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।’
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্যদানকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা দেশের চিন্তা করেন সার্বক্ষণিক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক পথে আছেন। উনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা আজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসনীয়, যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার থেকে সব পাড়া মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। প্রস্তুত হয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে হাঁকডাক। সরকার পতন করবেন? আপনারা (বিএনপি) তো ১৩ বছরে ১৩ মিনিটও দাঁড়াতে পারেননি। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, এটা নাকি জোড়া তালি দিয়ে হচ্ছে। এ মাসের শেষে মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনা এক সাথে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন, এটা মুখের কথা না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি কয় ঘণ্টা ঘুমান। তিনি বলেছেন, তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুম হয়। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গান, তিনি শেখ হাসিনা। যিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়ান। শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে ভাবেন। তার পরবর্তী ভিশন ২০৪২-শান্তির বাংলাদেশ।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার খারাপ লাগে, ফোন করে, ম্যাসেজ দিয়ে বড় গলায় বলে, আমি অমুক ভাইকে মেইন্টেইন করি। ভাইকে মেইন্টেইন করতে হবে কেন।
এর আগেঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ছাত্রলীগের দপ্তর সেল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সাড়ে ৮০০ আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৫৪টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে ২৫০টি এবং মহানগরে ৩৪০টি আবেদন জমা পড়েছে।
এমএমএ/