বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তাহের ক্ষমতা দখলের জন্য অভ্যুত্থান করেনি: ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহ বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্রবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

তিনি বলেন, উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা নিজের হাতে ক্ষমতা নেওয়ার জন্য পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্ষমতার জন্য পাগলা কুকুরের মতো উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলে। এরকম পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর তৎকালীন সিজিএস খালেদ মোশাররফ তার অনুগত কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে ৩ নভেম্বর পাল্টা ক্যু করে সেনাপ্রধান জিয়াকে গৃহবন্দী করে নিজেকে সেনাপ্রধান এবং সামরিক আইন জারি করে।

৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিদেশ থেকে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাসদ সভাপতি। তিনি মহান বিপ্লবী, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের মৃত্যুঞ্জয়ী কমান্ডার, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহি বিদ্রোহ, সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মহানায়ক, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইনু বলেন, সেনাবাহিনীর অফিসারদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ির ঘটনায় সিপাহিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সিপাহিরা সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। সিপাহিরা সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কর্নেল তাহের জাসদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি জাসদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সিওসির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। জাসদের সিদ্ধান্তে তিনি সিপাহিদের বিদ্রোহকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা, রক্তপাত এড়ানোর জন্য জাসদ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপ করেন। সিপাহি বিদ্রোহ সফল হয়। জিয়া মুক্ত হয়।

তিনি বলেন, কর্নেল তাহের বা জাসদ ক্ষমতা দখল করার জন্য সিপাহিদের বিদ্রোহে যুক্ত হয়নি। কর্নেল তাহের বা জাসদ চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে যে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র, সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনীতে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল সেই ধারার অবসান করা। জাসদ বা কর্নেল তাহের নিজের হাতে ক্ষমতা না নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কর্নেল তাহের ও সিপাহিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। জিয়া মুক্ত হয়েই সিপাহিদের দাবি অনুযায়ী জাতীয় সরকার গঠনের পথে না গিয়ে নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিদ্রোহী সিপাহি ও কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। কর্নেল তাহেরসহ শত শত অফিসার, সৈনিককে হত্যা করে। জাসদের নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। ৭ নভেম্বরের ঘটনায় কর্নেল তাহের মহানয়ক, জিয়া খলনায়ক।

জাসদ সভাপতি বলেন, জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র-ক্যু-সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহিদের বিদ্রোহ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য মহান ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু যেমন খন্দকার মুশতাককে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন, কর্নেল তাহেরও জিয়াকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আজও দেশের অসাংবিধানিক শাসন, অসাংবিধানিক সরকার, মোশতাক-জিয়ার চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে। সিপাহি বিদ্রোহের চেতনা ও কর্নেল তাহেরের শিক্ষাকে ধারণ করে অসাংবিধানিক শাসন, অসাংবিধানিক সরকার, পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি রুখে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে অবিচল থাকার জন্য জাসদের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে সোমবার (৭ নভেম্বর) শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভার শুরুতে ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার, বিপ্লবী জাসদ নেতা শহীদ কর্নেল তাহের বীর উত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাসদ নেতারা।

ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের অনুজ অধ্যাপক ড. মু. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান ঝলমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন কাউছার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মু. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে পরাজিত পাকিস্তানি শক্তি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ষড়যন্ত্র করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে জাতীয় চার নেতা, কর্নেল তাহেরসহ হাজার হাজার দেশপ্রেমিক নেতা-কর্মীকে।

তিনি বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে এরা বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করে রেখেছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে এদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তাদের সেই সড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি মাঠে নেমেছে। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী রাজনৈতিক শক্তির একটি শক্তিশালী, কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যই কেবল ষড়যন্ত্রকারীদের সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে পুনরায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সরকার কায়েম করতে পারে। একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এবং তার অগ্রযাত্রার জন্য এমন ঐক্যই জরুরি। শহীদ কর্নেল তাহের বীর উত্তমের চেতনা ও শিক্ষাই ছিল বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ এর আমলে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারিক আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়াও হয়েছিলো। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে ঘটে যাওয়া হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। যাচাই-বাছাই শেষে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

এ দিকে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ দল নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় ও আন্দরকিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এর আগে, গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।

Header Ad

বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়

ফাইল ছবি

এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সামান্থা। তবে সম্প্রতি দক্ষিনি সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সে বিষয়েই একটি সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।

এমনকি তালাকপ্রাপ্ত মহিলা হওয়ার জন্য লোক তাকে কি নামে ডাকে, সেটাও আনলেন সামনে। যা কোনো মহিলার জন্যই সম্মানহানিকর।

গালাটা ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিয়ের গাউন পরিবর্তন করে, সেটি দিয়ে ড্রেস বানানোর পিছনে তার কী ভাবনা কাজ করেছিল।

জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন কোনও মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যান, তখন তার সঙ্গে অনেক লজ্জা এবং কলঙ্ক জড়িয়ে যায়। ‘সেকেন্ড হ্যান্ড, ইউজড (ব্যবহৃত), ওয়েস্টড লাইফ (জীবন নষ্ট)’ বলে প্রচুর কমেন্ট পাই।’

সামান্থা বলেন, ‘আপনাকে এমন একটি কোণে ঠেলে দেওয়া হয়, যেখানে আপনার সবসময় নিজেকে ব্যর্থ মনে হতে থাকে। আপনি অপরাধবোধের মধ্যে দিয়ে যান। লজ্জা কাজ করে যে, আপনি একসময় বিবাহিত ছিলেন, এখন আর নেই। যেসব পরিবার ও মেয়েরা এর মধ্য দিয়ে গেছে, তাদের জন্য এটা সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি।’

এরপর গাউন কেটে ড্রেস বানানো প্রসঙ্গে সামান্থা বলেন, ‘প্রথমে খুব কষ্ট হয়েছিল। তারপর ঠিক করলাম, বদলে দেব। আমি এর মালিক। আমি এখন আলাদা হয়ে গেছি। ডিভোর্স হয়ে গেছে। সবসময় তো আর সব গল্প রূপকথা হয় না। তবে তার মানে এই নয় যে, কোনায় বসে কেঁদেই যাব। এটা হয়েছিল ঠিকই, তবে আমার জীবন শেষ হয়ে যায়নি। আমি খুশি, ভালো কিছু কাজ করছি, ভালো মানুষদের সঙ্গে মিশেছি।’

সামান্থা ২০১০ সালে নাগার্জুনার পুত্র এবং অভিনেতা নাগা চৈতন্যেরর সঙ্গে প্রথম কাজ করেন। এরপরই তারা ডেটিং শুরু করেন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ঐতিহ্যবাহী হিন্দু রীতি অনুসারে গোয়ায় এবং তারপরে ৭ অক্টোবর ২০১৭ সালে খ্রিস্টান রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করেন।

২০২১ সালের জুলাই মাসে, অভিনেত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আক্কিনেনি উপাধিটি সরিয়ে ফেলেন, এরপরই বিচ্ছেদের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার কয়েক মাসের ব্যবধানে এই দম্পতি তাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর কয়েকদিন আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে অফিসিয়ালি বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন