অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দেখতে চান মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অসত্যকে পরাজিত করার জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। তার আবির্ভাব হয়েছিল অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দর প্রতিষ্ঠা করার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য। আজকে আমাদেরকে সেই একইভাবে অন্যায়, অসুন্দর, অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রার্থনা করছি আমরা সুষ্ঠু সুন্দর গণতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।’
রবিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের এই রাষ্ট্রকে একটি নতুন ভূখণ্ড তৈরি করে আমরা ওইখানে একটি গণতান্ত্রিক সমাজে হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ এখানে একটি মুক্ত সমাজ গণতান্ত্রিক সমাজ সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মোটা ভাত, মোটা কাপড়, মাথায় একটা ছাদ নিয়ে, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সুখী জীবন যাপন করব। সেই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ছিলাম লড়াই করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ৫০ বছর পরে আমাদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আমরা কি সত্যিকার অর্থেই এমন রাষ্ট্র চেয়ে ছিলাম? সম্ভবত চাইনি। আমরা সত্যিকার অর্থেই দেখতে চাই এখানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
দেখতে চাই একটা মানবাধিকার রক্ষা করার বাংলাদেশ, দেখতে চাই সুখী সুন্দর বাংলাদেশ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই উৎসবের দিনে রাজনীতির কথা বলে আমি আপনাদের ভারাক্রান্ত করতে চাই না। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই হাজার হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলমান আমরা এক সঙ্গে বিকশিত হয়েছি। আমরা সেই দেশ সমাজকে নষ্ট হতে দেব না। আমাদের বয়স হয়ে গেছে আমরা যাওয়ার পথে। কিন্তু আজকে যে তরুণ সমাজ আছে, আজকে যে যুবক তাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে এই বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই এখন একটা গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিক সমাজে পরিণত করা। সকলের অধিকার কে রক্ষা করা। আজকের এই উৎসবের দিনে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি আমার শৈশবে পূজা মণ্ডপে নাটক করেছি। বন্ধু বান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে আমি বিজয়ার আনন্দ উপভোগ করেছি। আমি আমার শৈশব কৈশোরের যে চেতনা সেই চেতনার মধ্যে এটাকে লালন করি। ঠিক একইভাবে আমার দলও তাদের অধিকারকে বিশ্বাস করে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের অধিকার রক্ষা করে এখানে একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। জনগণের বাংলাদেশ নির্মাণ করব, অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ নির্মাণ করব। আজকের দিনে এই হোক আমাদের সকলের প্রত্যাশা। আমরা আজকে প্রার্থনা করব আসুন, দেশকে সেভাবেই গড়ে তুলি যাতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের বসবাস উপযোগী একটা সুন্দর বাংলাদেশ দিতে পারি।’
এমএইচ/এমএমএ/