শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকার জনবিস্ফোরণের আতঙ্কে ভুগছে: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে।

তিনি বলেন, সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, ভাঙচুর, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার এবং বিএনপির সভা-সমাবেশ পণ্ড করার কাজে সিপাহসালারের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের উপর নির্ভরশীল হয়ে দাম্ভিকতা, রক্তপাত আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে দেশ চালাতে গিয়ে রাষ্ট্রকে গভীর সংকটে নিপতিত করেছে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যায়, অবিচার ও ভয়াবহ অপশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে দুঃসাহস দেখাতে না পারে সেজন্য বিএনপিকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে সরকার। তারা বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, সরকার জনবিস্ফোরণের আতঙ্কে ভুগছে। আর তাই তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। তবে সব অপকর্মের জন্য সরকারের পতন এখন খুবই সন্নিকটে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল এবং আজ নরসিংদী, খুলনা, ঝিনাইদহ গাজীপুরের কালিগঞ্জ, নড়াইল, বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা, পটুয়াখালী ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গুরুতর আহত করেছে। পুলিশ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া রাজশাহী মহানগরের অন্তর্ভুক্ত কাশিয়াডাঙ্গা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম রনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এসব নৃশংস ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি বানচালের লক্ষ্যে আজ নরসিংদীর রায়পুরায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন এবং সদস্য রফিকুল আমিন ভুঁইয়াসহ অনেক নেতা-কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা জেলাধীন দিঘলিয়ায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছত্রছায়ায় নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সোহেল পারভেজ, ইব্রাহিম শেখ, ছাত্রদল নেতা সবুজ গাজী, আমির হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, রাব্বি রিয়াজ, জুলফিকার গাজীসহ কমপক্ষে ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করে। গ্রেপ্তার করা হয় দিঘলিয়া উপজেলা যুবদল নেতা কুদরতে ইলাহী স্পিকার ও রাসেল আহমেদ নাসিমকে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুরসহ কবিরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়ার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।

আজ মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা মোকতার হোসেন তারা, আবুল কালাম, আবুল মৃধা, আতিউর সরদার, মহিলা দলের মুন্সিগঞ্জ জেলা সভানেত্রী সেলিনা আক্তার বিনা এবং সহ-সভাপতি রোকেয়া বেগম, যুবদল নেতা শেখ রনি, ফারুক মৃধা, বিল্লাল হোসেন প্রিন্স, জেমস, মাসুদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রোজীন, শামীম সরদার, ছাত্রদল নেতা হাসিব, আকাশ, শিশির চৌধুরী আরিফ, তুর্জয় খানা মুন্না, জানে আলম, সিয়াম শেখ এবং আরিফের উপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে। আরিফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা।

মুন্সিগঞ্জে আজকের কর্মসূচিতে হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হামলা চালিয়ে সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাবুসহ ১২ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নড়াইলের মাইজপাড়ায় কর্মসূচি পালনকালে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুব মুর্শেদ জাপল ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাহিদুর রহমান পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশাল দক্ষিণ জেলার উজিরপুর উপজেলায় সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় শ্রমিক দল নেতা সোলায়মান খান হাইয়ুম ও বিএনপি নেতা মিলন হাওলাদারসহ ২০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।

গাজীপুরের কালিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১০ জন নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করে। পটুয়াখালীর গলাচিপায় আওয়ামী গুন্ডারা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম ও রাজীব মাহমুদকে আহত করেছে। খাগড়াছড়িতে বাঘাইছড়ি উপজেলায় কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা আল আমিন, যুবদল কর্মী রফিকসহ ৬-৭ জন নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। তিনি গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত