মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রতিটি গণহত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত: হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে খুনির দল। প্রতিটি গণহত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র গঠন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় '১৫ এবং ২১ আগস্ট বাঙালি জাতির নেতৃত্ব নির্মূলে নীলনকশা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিসার্চ অ্যান্ড ডায়লগ ইন্টারন্যাশনাল (আরডিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আরডিআই'র চেয়ারম্যান, শিক্ষাবিদ ও ফোকলোরিস্ট অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা ও বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান রাজনীতিবিদ নয় বরং পাকিস্তানি ভাবধারার পৈশাচিক, বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিটি গণহত্যায় এই পরিবারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণহত্যা একই যোগসূত্র পাওয়া যায়। একাত্তরের গণহত্যাও একই জায়গা থেকে পরিচালিত।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু কিছু সুশীল রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলেন। কার সঙ্গে সমঝোতার কথা বলেন? রাজনীতিবিদের সঙ্গে রাজনীতিবিদের সমঝোতা হতে পারে, কথা হতে পারে। কিন্তু হত্যাকারী, বিকৃত মানসিকতা সম্পন্নদের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।

২১ আগস্ট নিয়ে বিএনপি ২০০৪ সালে মিথ্যাচার করেছে, এখনো করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাবক তারেক রহমান লন্ডনে বসে বলছে ২১ আগস্টের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। যেটা তার মা (খালেদা জিয়া) বলেছেন সংসদে। কী পরিমাণে পৈশাচিকতা থাকলে এসব বলা যায়। গণহত্যা চালানোর পর তাদের কোনো অনুশোচনা হয়নি বরং তারা এখনো নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

বিএনপি জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে গ্রেনেড হামলাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনাকে আবার কে মারতে যাবে? ভ্যানিটি ব্যাগে করে তিনি নিজে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। কী নিষ্ঠুর পৈশাচিক রসিকতা!

বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানির জন্য কোনো মামলা হয়েছে এমন নজির নেই উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা মায়াকান্না করে বলছেন তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব মামলা ২০১২ সাল থেকে শুরু করা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতার কারণে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ছিলেন মহান ব্যক্তি, বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট্ট স্বাধীন দেশের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের জন্য আবাসযোগ্য করার কাজ করে যাচ্ছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড থেকে নারী, শিশু কেউই রেহাই পায়নি। যারা পরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল তাদের কাজে প্রমাণ হয় এ হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তান জড়িত ছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যায় জিয়াউর রহমান নেপথ্যে থেকে ভূমিকা রেখেছেন।

হানিফ আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকা মানে নেপথ্যে পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকা। জিয়া নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেন, অথচ সরকার গঠন করলেন রাজাকারদের দিয়ে। পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল তাদের পুনর্বাসন করলেন, দালাল আইন বাতিল করে রাজাকারদের মুক্ত করে দিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে আনলেন। নিষিদ্ধ জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলেন। এসবের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তিনি পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জন্ম যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চায়নি, তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছে।

এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, বাংলাদেশ চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। যতক্ষণ দেশ থেকে সন্ত্রাস, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দমন করতে না পারব, ততদিন ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানের ওপর ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।

একই সঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ইসলামাবাদে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হুমকি-ধামকি বাড়ছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতীয় হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে। 

তবে ভারতের এই আক্রমণ আসন্ন বলে মন্তব্য করলেও এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি তিনি।

খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের অস্তিত্বের জন্য প্রত্যক্ষ কোনো হুমকি তৈরি হলেই কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করা হবে।

গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার ঘটনার পর হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে। পাশাপাশি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরাল হয়েছে ভারতে।

 

Header Ad
Header Ad

কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি জয় লাভ করেছে বলে জানিয়েছে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (সিবিসি)।

সোমবারের এই বিজয়ে লিবারেলদের নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির প্রতিক্রিয়া লিবারেল জয় তরান্বিত করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এপি।

এদিকে, কানাডা শনিবার ভ্যাঙ্কুভারে এক মারাত্মক গাড়ি হামলার ঘটনার পরবর্তী প্রভাব মোকাবিলা করছে। ওই হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এবং এর জেরে কয়েক ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা নয়; অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ইতিহাস রয়েছে।

নির্বাচনের আগে লিবারেলরা বিশাল পরাজয়ের মুখোমুখি হতে চলেছিল।  তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন কানাডার অর্থনীতির ওপর আক্রমণ শুরু করেন এবং দেশটির সার্বভৌমত্বের হুমকি দেন—এমনকি কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দেন—তখন কানাডিয়ানদের মধ্যে ব্যাপক জাতীয়তাবাদী আবেগ ছড়িয়ে পড়ে। 

এর ফলেই নির্বাচনের গতিপথ ঘুরে যায় এবং লিবারেলরা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে চেয়েছিলেন এই নির্বাচনকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা পতনের ওপর একটি গণভোটে পরিণত করতে। ট্রুডোর এক দশকের শাসনকালে খাদ্য ও আবাসন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের আক্রমণের পর ট্রুডো পদত্যাগ করেন এবং সাবেক দুইবারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি লিবারেল পার্টির নেতা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন।

কানাডায় যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন 

দেশটির ৩৪৩টি ফেডারেল আসনে ভোটাররা কেবল তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

যে দলের নেতৃত্বে হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জিত হবে, সেই দল সরকার গঠন করবে এবং দলের নেতা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

যদি কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে সাধারণত সর্বাধিক আসন পাওয়া দল সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে এবং সরকার টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের কিছু সদস্যের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়।

কখনও কখনও একাধিক দল মিলে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে যৌথভাবে জোট সরকারও গঠন করতে পারে।  লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা