শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৬ মাসের বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজের প্রস্তাব জাসদের

সংকট মোকাবেলায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ ছয় মাসের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাসদ স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভা থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. রবিউল আলম, আফরোজা হক রীনা, আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু।

সভায় গৃহিত রাজনৈতিক প্রস্তাব থেকে বলা হয়, দুই বছরের অধিককালের বৈশ্বিক মহামারি করোনার অভিঘাত কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপরিণামদর্শী নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে খাদ্যশস্য, জ্বলানি, খাদ্যদ্রব্য, নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মত বাংলাদেশের মানুষের জীবনেও সংকট ও দুর্ভোগ বেড়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পদক্ষেপ ছিল বাস্তবসম্মত। জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য বজায় রেখে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর রাখা, অসহায়-নিরুপায়-আয়হীন-কর্মহীন মানুষকে নগদ অর্থ-খাদ্য-ত্রাণ ও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে সরকার।

জাসদ মনে করে, আন্তর্জাতিক সংকট বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বর্তমানে যে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে সেটা মোকাবেলা করা সম্ভব। এই সক্ষমতা জাতীয় অর্থনীতির আছে। করোনা মোকাবেলায় জাতীয় অর্থনীতি সেই সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বর্তমান সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজন অস্থিরতা ও দিশেহারা ভাব পরিহার করা। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করা।

জাসদ বলছে, বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ ও উপায় কি? তা সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি। বরং সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তায় অস্থিরতা, দিশেহারাভাব, সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গণমাধ্যমও সংকটের প্রকৃত চিত্র ও সমাধানের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় তুলে ধরার চেয়ে সংকটের ভয়াবহ পরিণতির আশংকাকেই ফলাও করে তুলে ধরছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভূলতথ্য, অপতথ্য, আংশিক তথ্য, মিথ্যা প্রচার করে জনমনে আতংক তৈরি করা হচ্ছে। জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ব্যক্তিরাও সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট পথ দেখানোর বদলে সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একতরফা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর বিএনপি-জামায়াতসহ কতিপয় দল সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্টকে পুঁজি করে সরকার উৎখাত ও ক্ষমতা দখলের জঘন্য অমানবিক রাজনীতি করছে।

তাই বর্তমান সংকট মোকাবেলায় জাসদ ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরছে। বৈশ্বিক এ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি সচল, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন সচল, বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, সাধারণ মানুষের আয় ও জীবিকা ধরে রাখাই বাংলাদেশ সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কা মোকাবেলায় এবং ভবিষ্যতের যে কোনো সংকট মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের জন্য সরকারকে বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে।

জাসদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে

প্রথমত, সরকারকে অস্থিরতা ও দিশেহারাভাব ঝেরে ফেলে বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ এবং উপায় সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা।

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উঠানামায় অস্থির হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত কৃষি ও শিল্প উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনপরিবহণ ও পণ্যপরিবহণসহ সামগ্রিক অর্থনীতির উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে। ফলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রাজস্ব আয় সামান্য বাড়লেও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সেই রাজস্ব আয়ের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বেশি। তাই আগামী ছয় মাসের জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। জ্বালানি তেলের উপর বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার এবং প্রয়োজনে বাজেটের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ সমন্বয় করে জ্বালানি খাত, কৃষি খাত, সারের দাম কমাতে ভর্তুকি দিতে হবে।

তৃতীয়ত, জ্বালানি খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর আত্মঘাতি পথ থেকে বেড়িয়ে আসার পশাপাশি রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সম্পদের উপর সরাসরি কর বৃদ্ধি, কর-ভ্যাট আদায়ে অটোমেশন চালু, জাতীয় পরিচয়পত্র ও গণশুমারীর তথ্য ধরে করের আওতায় বহির্ভূত কর ফাঁকিদাতাদের চিহ্নিত করে করের আওতায় আনা, দেশের নয় লক্ষ হাট-বাজারের করের আওয়াতাভুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওয়াতায় আনতে হবে।

চতুর্থ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান বাস্তব চিত্র স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরে এ খাতে নীতি-কৌশলগত ভুল ত্রুটি, সমন্বয়হীনতা, অপচয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অলাভজনক ব্যয়, পদ্ধতিগত লোকসান, দুর্নীতি, লুটপাটের যত অভিযোগ সামনে এসেছে সেগুলোর যৌক্তিক জবাব দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতির পুনমূল্যায়ন করে পুননির্ধারণ করতে হবে। তার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে।

পঞ্চমত, ‘বিলাস দ্রব্য’, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানির সংজ্ঞা’ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে ডলার সহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের ঘোষণা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক বাজারে যে বিশৃংখলা তৈরি হয়েছে তা কঠোরভাবে দূর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে হবে। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে রেমিটেন্সের উপর প্রদত্ত প্রণোদনা ২% থেকে ৩% এ উন্নীত করতে হবে। ডলারের মূল্য নির্ধারণ খোলা বাজারের উপর ছেড়ে না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প হিসাবে দেশীয়/স্থানীয়/গ্রহণযোগ্য মুদ্রা ব্যবহারের বিকল্প পথ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকের সুদ হার পুননির্ধারণ করতে হবে।

এবং ষষ্ঠত, নিরুপায় ও অসহায়, আয়হীন, কর্মহীন মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাত ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রসারিত করতে হবে। নিম্ম আয়, স্বল্প আয়, সীমিত আয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ‘খোলা বিক্রয়’ ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কল-কারখানা-শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

জাসদ বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধৈর্য্য ও প্রজ্ঞার সাথে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলা করেছেন, একইভাবে সেই প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকটে জাতীয় অর্থনীতিতে যে সাময়িক বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা করে জনগণকে স্বস্তি প্রদানে তাঁর সক্ষম হবেন।

এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্য উৎসব-২০২৫' আয়োজিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এনডিসি শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যান্য অতিথিরা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন, পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এম. এ. এন শাহীন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং তারুণ্যে উৎসবের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের  উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর 'জুলাই বিপ্লব ও তথ্য প্রযুক্তি' বিষয়ক ডকুমেন্টারি এবং 'জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' দুইটি পৃথক ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। তারুণ্য উৎসবে অনলাইন ভিত্তিক কুইজ এবং একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিশেষ অতিথি শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, 'তারুণ্য উৎসবের মাধ্যমে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে আমরা একটি মেসেজ দেওয়া চেষ্টা করছি এদেশের তরুণরাই সবকিছুর চালিকা শক্তি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে এটা প্রমাণিত। তারুণ্য উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার কারণ হলো জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্থান ছিল কুমিল্লা। এছাড়া এই এলাকা একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এডুকেশন হাব। এই অঞ্চলে একসঙ্গে অনেক ভালো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরবর্তী ইনোভেশন হাবটি আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করবো।'

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলী বলেন, 'আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তাদের অনুষ্ঠানের ভেন্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার জন্য এবং আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে। তরুণদের এগিয়ে যাএয়ার পথ এখন সেটা তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ।  তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে  তরুনদের উদ্ভাবন ও উদ্দোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আজকের আইসিটি মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ এখন এসব বিষয়ে তরুণদের টার্গেট হওয়া উচিত। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কিছু প্রজেক্ট হাতে নেয় সেখানেও আমরা সহযোগিতা করবো।'

তিনিও আরো, 'বলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়কে সচিব ঘোষণা দিয়েছেন এখানে একটি আইসিটি হাব হবে এতে আমি আমি খুব খুশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খুশি। তরুণদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এই হাবটিকে আমরা দেশের প্রথম এআই হাব বানানোর জন্য চেষ্টা করবো। কারন, এই সেক্টরে দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।'

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'আমাদের পুরো কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ভাষার মাসে আমাদের যে এই সুন্দর আয়োজন আমি শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে চব্বিশে জুলাই বিপ্লবে যে আত্মত্যাগ ছিলো তাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করি। গভীরভাবে স্মরণ করছি আমাদের ছাত্র শহিদ আবদুল কাইয়ুমকে যিনি চব্বিশের আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি আরও বলে দিতে চাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে গ্লোবাল প্রডাক্ট হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ

সালাহউদ্দিন আম্মার এবং মেহেদী সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নবগঠিত ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই সমন্বয়ক। ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।

পদত্যাগকারী দুই নেতা হলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা উভয়েই রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসান-এর নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মেহেদী সজীবকে, আর ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হন সালাহউদ্দিন আম্মার। কিন্তু কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা দুজনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে মেহেদী সজীব লিখেছেন- ‘নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি না।’

তিনি আরও লেখেন- ‘আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছে, যা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাবিকেন্দ্রিক মনোভাব যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যেতে রাজি নই।’

সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য- ‘এই সংগঠন সর্বজনীন হতে পারত, কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। আমাদের আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন- ‘রাবি শিক্ষার্থীরা চাইছে না ঢাবিকেন্দ্রিক আধিপত্য বজায় থাকুক। তাই আমরাও থাকতে চাই না।’

এই পদত্যাগের ঘটনায় সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। সংগঠনটি কতটা সর্বজনীন হতে পারবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Header Ad
Header Ad

রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট

ছবি: সংগৃহীত

একযুগ পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নওগাঁয় সদর উপজেলা ও পৌরসভার কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই যেখানে ভোটাররা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের প্রত্যক্ষ ভোট প্রদান করবেন। দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল হওয়ায় প্রার্থী ও সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা নিজেদের জানান দিতে গত কয়েকদিন থেকে শহর ও গ্রামে মাইকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। তবে কার গলায় উঠবে বিজয়ের মালা তা ঠিক করবেন ভোটাররা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়- নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিলো ২০১০ সালে। যেখানে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কিমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুন নবী সাজা। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৬৩৯ জন।

অপরদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ সালে। যেখানে ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক আ শ ম আল কাফী তুহিন। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৮৫২ জন।

নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- মোঃ নুরুন নবী সাজা ও শেখ মোঃ মিজানুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী- শাহ্ আজিজুর রহমান চৌধুরী হিরু, মোঃ আব্দুল মতিন তালুকদার এবং মোঃ দিদারুল হক রতন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী-আগফা উদ দৌলা সবুজ, মোঃ মতিউর রহমান (বুলু), মোঃ মহসিন আলী, এস,এম শহীদুল ইসলাম (সাথী) এবং মোঃ শাহীদুজ্জামান (সাইদ)।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক বেলাল।

অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ও মো. সারওয়ার কামাল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ আব্দুস সালাম পিন্টু, মোঃ নাদিম কুদ্দুস, সরদার সাইফুল ইসলাম সাজু এবং শ.ম.আ. আল কাফী তুহিন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ খালেদ হাসান (লিপ্ত), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল হক রানা এবং মোঃ ওবাইদুর রহমান।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, সহকারি নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মিনহাজুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।

পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ নুরুন নবী সাজা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- ‘দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে কাউন্সিল খুবই দরকার। এতোদিন দলে যে দূর্বলতা ছিলো তা কাটিয়ে উঠবে। সেইসাথে এ কমিটির মাধ্যমে দল আগামীতে মজুত হবে এবং গতিশীল বাড়বে।’

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশাবাদী নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

নির্বাচনের দায়িত্বরতা জানান- সকাল ১০ টায় নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌর বিএনপি এবং সকাল ৯টায় নওগাঁ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। যেখানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি-লুটপাট, গ্রেফতার ৪
সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট, জেমসসহ গাইবেন আরও পাঁচ ব্যান্ড
বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এমন সংবাদ দিয়ে ছেলেকে অপহরণ
রামপুরায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, বাসে আগুন
একযোগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫৩ জন কর্মকর্তাকে রদবদল
‘টাকা-পয়সা-গয়না কেড়ে নেওয়াতে দুঃখ পাইনি, কিন্তু ধর্ষণের মিথ্যা খবর প্রচারে আমি ভেঙে পড়েছি’
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, নেতৃত্বে যারা
নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার: হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭৪৩ জন
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ, সরকারের ব্যয় ৫২৫ কোটি টাকা
চা দোকানির ছেলে হলেন বিচারক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরে গেল চালকের প্রাণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২৭১ পদে বিশাল নিয়োগ
বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা