শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১৬ মাস। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী বিএনপি ও তার মিত্ররা মুখোমুখি।

বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে তারা আগামী নির্বাচনে যাবে না।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ। তারা সংবিধানের বাইরে যাবে না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলে দিয়েছেন নির্বাচন করতে হলে সংবিধান মেনে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনড় অবস্থানের কারণে রাজনীতি সচেতন মহলেও চলছে তুমুল বিতর্ক।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান ব্যবস্থায় ভোট করতে এগুচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী যে সরকার দেশ পরিচালনায় থাকবে সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় বিভিন্ন দল বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইলেও সংবিধানের পথেই হাঁটতে চায় ইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে নয়, কমিশন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। যে সরকারই থাকুক আমরা তাদের কাছে যে সাহায্য চাইবো সেটি দিতে হবে।’

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।’

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, জাতীয় সরকারের কথা আমরা বলিনি। আমরা বলেছি নির্দলীয় সরকার। জাতীয় সরকার নিয়ে আমরা আন্দোলনটা করতে চাই না। আমাদের আন্দোলন হচ্ছে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ অবস্থান তৈরি করে নির্বাচন করা।’

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলছে, আনুপাতিক হারে বিজয়ী ঘোষণা করা হোক। এজন্য দলটির মহাসচিব নির্বাচন কমিশনে একটি প্রস্তাবও দিয়েছেন। আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এই পদ্ধতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি ভালো মানুষও হোন, তিনি মন থেকেও যদি চান তবুও তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন না। তাকে তো সরকারের হেল্প নিতে হবে। সেই হেল্প করার মতো মানসিকতা কোনো সরকারেরই নেই। কারণ, যখন সরকার মনে করবে হেরে যাবে তখন নির্বাচন কমিশনকে সেভাবে সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি না। তাই বলছি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচন করলে ফেয়ার করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি কখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশ্বাসী না। চুন্নু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে বাতিল হয়েছে, সেই ব্যবস্থা তারা আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে বলে মনে করেন না রাজনীতিবিদরা। তাছাড়া সংবিধান সংশোধন করতে হলেও সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। যেহেতু বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, তাই তাদের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃবহালের সম্ভবনা ক্ষীণ।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি করেছে তাদের কাছেও গ্রহণযোগ্য সমাধান নেই। কারণ প্রথমে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছিলেন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘একমাত্র পাগল ও শিশু ছাড়া কোনো মানুষের পক্ষে নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।’

১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ২৬শে মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে পাস করে বিএনপি। এরপর যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়। পরাজয়ের পর বিএনপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন পরাজিত হয় তখনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল। তাই কোনো দলই এই সরকার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেনি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

এরপর গত দুটি নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই হয়। সেই দুটি নির্বাচনের একটিতে ২০১৪ সালে বিএনপি অংশ নেয়নি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ছয়টি আসনে জয়ী হয়। তারপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যমান রেখে নির্বাচন করার পদ্ধতির সমালোচনা করে আসছে বিএনপি। তারা নির্বাচনকালীন সরকারের পরিবর্তন চায়। সেই দাবিতে দলটি আন্দোলনেরও হুমকি দিচ্ছে এবং নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এসএম/এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর