‘রাতে কিন্তু কাজটা হয়। কী বলব! এটা আমরাও করিয়েছি’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভরার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রস্তাব করছি। তাহলে রাতের বিষয়টি আর আসে না। রাতে কিন্তু কাজটা হয়। কী বলব! এটা আমরাও করিয়েছি। হয় না-এটা ঠিক নয়।’
রবিবার (৩১ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এতে সিইসিসহ অন্য চার কমিশনার এবং ইসি সচিব অংশ নেন।
নির্বাচন কমিশন অসহায় উল্লেখ করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইভিএমে ভোট হলে আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথাও বলেন তারা।
ইভিএমের বিরোধিতা করে জাপা মহাসচিব বলেন, ইভিএমে আমাদের আস্থা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমারও এতে কোনো আস্থা নেই। মানুষ মনে করে ইভিএমে ভোট পাল্টে দেওয়া হলে কিছু করার নেই। কারণ ফল রি-চেক করা যায় না।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের এক্সপার্টদের কথাও আমার মাথায় ঢোকেনি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া ইভিএম ব্যবহার যৌক্তিক হবে না।
প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ইভিএম খুবই কঠিন পদ্ধতি। অনেক দেশে ইভিএম বাতিল করা হয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, আমার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটা ঠিক করার লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ইভিএম নষ্ট হলে সেটা আপনারা ঠিক করবেন? না নির্বাচনের অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম করবেন?
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান একপর্যায়ে ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, তাদের সময় ইভিএমে কোনো সমস্যা হয়নি। তারা ৪-৫শ ভোট ইভিএমে করেছে।
এমএমএ/