নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ আস্থা হারিয়েছে: বাংলাদেশ ন্যাপ
বর্তমানে দেশে একটি অবাধ, সুষঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা আছে বলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটের দলগুলো ব্যতিরেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ জনগন কেউই বিশ্বাস করে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন অভিমত প্রকাশ করেছে।
তারা বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন ব্যবস্থার উপর রাজনৈতিক দল গুলোর পাশাপাশি জনগণও সম্পূর্ণভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায়, নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে সর্বাগ্রে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ যেকোনো মূল্যে, সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন।
সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসীমউদ্দিন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম রীবন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এখলাস হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম পেলাব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভোটের মাধ্যমে নিজের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং সাংবিধানিক এই মৌলিক অধিকার প্রয়োগের দায়িত্বটি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তাই নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য হবে আগে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের আস্থা অর্জনে যাবতীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহান মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষে ১১দফা প্রস্তাবনা এবং পরামর্শ পেশ করা হয়।
এমএইচ/এমএমএ/