সংকটই সরকারকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে: ফখরুল
সীমাহীন দুর্নীতি ও কয়েকটি বিশেষ কোম্পানিকে সুবিধা দিতে গিয়ে দেশে বিদ্যুতের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার বিদেশে টাকা পাচার করেছে, বাড়িঘর বানিয়েছে,তা দেশে কাজে আসছে না। এটা তো শুরু, এরপর দেখবেন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এখন সরকারকে শর্ষে ফুল দেখতে হবে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং এই সরকারের পতন ঘটাবে।'
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন মনে করে দেশের মানুষ আহম্মক। অথচ গত ১০ বছর ধরে এটা প্রমাণিত যে, দলীয় সরকারের অধীনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। অতীতে দায়িত্বশীল নির্বাচন কমিশনাররা চাকরি শেষে বলেছেন আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এখনই বলছেন- বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’
প্রশ্নটা তাহলে নির্বাচন কমিশনের কাছে নয়, সরকারের কাছে। যারা পরিকল্পিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে এবং যারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদেরকেই আবার জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সংকট উত্তরণের কোনো পথ নেই, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) টাকা চুরি করেছে, এই টাকা চুরির হিসাব তাদেরকে একদিন জনগণের আদালতে বিচারের সম্মুখীন হয়ে দিতেই হবে। সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে আগাম এবং স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেটা বিবেচনা রেখে অগ্রসর হতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থায়ী সমাধানে যেতে চাচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ এতই ক্ষমতা সম্পন্ন যে তারা করোনাকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, এবং অর্থনীতির সকল সংকট সমস্যাও তারা সমাধান করে ফেলেছেন। পারেন না তারা এমন কোনো কাজ নেই। সেই বিশ্বাসে তারা যা খুশি তা করে গিয়েছেন এখন শুরু হয়েছে-সমস্যা সংকট। আর এই সমস্যা সংকটেই তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।’
এমএইচ/এমএমএ/