ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ঈদ, দিচ্ছেন কোরবানি
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশকিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। প্রায়ই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় নেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে বাসাতেই আছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাকে আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসার মনিটরিং করা হচ্ছে।
ফলে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ঈদুল আজহার দিনটি কাটাবেন। ওই দিন বিএনপির কোনো দলীয় কর্মসূচি নেই। খালেদা জিয়ার ভাইসহ নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় আসবেন।
লন্ডনে থাকা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ফোনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এ ছাড়াও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্য দেখা করতে যেতে পারেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকাপ্রকাশ’কে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে এলেও তিনি এখনো অসুস্থ। তবে বাসায় ফেরার পর নতুন করে কোনো রোগের উপসর্গ দেখা যায়নি। প্রতিদিন উনার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা বাসায় এসে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। মনিটরিং করছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে খালেদা জিয়া একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিচ্ছেন। কোরবানির পশুর মাংসের কিছু অংশ তার বাসভবনের স্টাফরা খাবারের জন্য রাখবেন। অধিকাংশ রাজধানীর কয়েকটি এতিমখানা এবং আশপাশের গরিবদের মধ্যে বিলি করা হবে।
প্রতি বছর ঈদের দিন দুপুরে তার ভাই শামীম এস্কান্দারের পরিবারের সদস্য ও আরেক ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় আসবেন। তারা দুপুরে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৫ মাস কারাগারে থাকার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কারামুক্ত হয়ে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
এমএইচ/আরএ/