দেশ শ্রীলঙ্কা হয়েই গেছে: খন্দকার মোশাররফ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আপনারা যে লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেছিলেন, আজকে কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এভাবে চলতে চলতে একদিন দেখবেন, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। এটা সরকারি লোকেরাও এখন একটু একটু বলা শুরু করছে। তারা বলছে, শ্রীলঙ্কা হতেও পারে। কিন্তু আমি বলছি, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়েই গেছে। কোথায় বাকি আছে। স্বাধীনতা নেই, অর্থনীতির অবস্থা নাজুক।
তিনি বলেন, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। আমাদের শুধু রাস্তায় নামা বাকি। শ্রীলঙ্কার জনগণের মতো আমরা শুধু রাস্তায় নামিনি। দেশে বাকি সবই ঘটে গেছে।
বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজকের এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ বন্যায় ভাসছে। কেন বন্যা হচ্ছে? আমাদের পাশের দেশগুলোতে যে নদী আছে, প্রত্যেকটা নদীর মুখে বাঁধ আছে। আজকে যে সরকার তারা তাদের নতজানু নীতির কারণে এর প্রতিবাদ করতে পারে না। খরা মৌসুমে তারা পানি আটকে রাখে, বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দেয়। এই নতজানু নীতি না থাকলে ভারতের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করতে পারত।
সাবেক এই মন্ত্রী নেতা বলেন, এখানেই একজন বলছেন, আমরা আন্দোলন করলেও সরকার যাবে, না করলেও যাবে। যদি সেভাবেই যায়, তাহলে জাতি আরেকটা অন্ধকারে প্রবেশ করবে। আর রাস্তায় নেমে আমরা যদি এদেরকে বাধ্য করতে পারি। তাহলে জনতার কাছে ক্ষমতা আসবে।
তিনি বলেন, জনগণ চায় পরিবর্তন। জনগণ চায়, এই সরকার অতি দ্রুত তার পদ থেকে পদত্যাগ করুক বা আমরা তাদের সরিয়ে দেই। সেটা করতে হলে, আমাদের সবাইকে অবশ্যই রাস্তায় নামতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ যেমন বীরের দেশ, আবার এ দেশে অনেক মীর জাফরও আছে। অতএব আজকে বীরেরা সামনে এগিয়ে আসুক। মীর জাফররা যেন সামনে আসতে না পারে।
এমএইচ/