সরকারের দুই কান কাটা: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গায়ের জোরে বেশ কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু দীর্ঘদিন থাকা যায় না। এই সরকার যে চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি করে ক্ষমতায় আছে, এটা সারা দুনিয়া জানে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানীর ওপর হামলাসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘আমি বলি গায়ের জোরে বেশ কিছু দিন ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু দীর্ঘ দিন থাকা যায় না। এই সরকার যে চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি করে ক্ষমতায় আছে। এটা সারা দুনিয়া জানে। এই সরকারের দুই কান কাটা। কথায় বলে না-এক কানা কাটা গেলে মানুষ রাস্তার একদিক দিয়ে হাটে। আর দুই কান কাটা গেলে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটে। তার কোনো লজ্জা, ভয়, শঙ্কা নাই। এই সরকার হলো সেই রকম সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বের বড় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জানে, আমাদের আশে পাশের যতগুলো দেশ আছে তারা সবাই জানে যে বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর কিছু বলার অধিকার নাই।
মান্না বলেন, পদ্মা সেতুর উপর দাড়িয়ে একজন হাত দিয়ে নাট-বল্টু খুলেছেন। রেঞ্জ দিয়ে খুলেছে কেউ দেখেছেন? আমি দেখিনি। আমি সরকারকে বলি। ওকে যে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলেন তার সম্পর্কে সব কথা বলেছেন, ওকে তো একটা কথা বলতে দিলেন না। কিছু লিখতে দিলেন না। যদি সে রেঞ্জ দিয়ে নাট খুলে থাকে তাহলে সেই ছবি আমাদের দেখাতে পারতেন না? কিন্তু সেটা তো দেখাননি। রেঞ্জ দিয়ে নাট খোলার ছবি দেখান। যদি না দেখাতে পারেন তাহলে নিরীহ একজন টিকটকারকে কেন জেলে রেখেছেন?
কতজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছেন প্রশ্ন করে মান্না বলেন, কতগুলো মানুষকে চিলের মতো, শকুনের মতো দিনের বেলা, রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গুম করেছেন? তাদের কথা বলা যায় না। সরকারের এখন অবস্থা এরকম আমরা ভোট ডাকাতি করে ডাকাতরা ক্ষমতায় আছি। কোনো নির্বাচন হয়নি, মানুষ ভোট দেয়নি, তবুও ১২বছর ধরে ক্ষমতায় আছি।
সরকার এখন বাহানা বের করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলে আমরা ভোট দেব আসেন সবাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছে বিএনপিকে একটু বোঝান তারা যেন নির্বাচনে আসে। মানে এবার একটু সরকার বেকায়দায় আছে। আমরাও সবাই মিলে বলেছি। ওরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। আমরা সে নির্বাচনে যাব না। আমি সমস্ত দলকে অনুরোধ করি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে আসেন। সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতন বন্ধ করতে রাজপথে আসেন। সাংবাদিকরা যাতে লিখতে পারে সেই অধিকারের দাবিতে সবাই রাজপথে আসেন। সরকারের বিরুদ্ধে একটা সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও কৃষক দল নেতা আবদুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ মফাস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইবনে মঈন চৌধুরী, কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএম/