ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: নোমান
আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাকে বলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু যে নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এমনকি কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
বিএনপি ছাড়া আন্দোলন সফল হবে না। আমাদের আর হারানোর কিছু নেই। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যদিকে দেশ ও জনগণের জন্য খালেদা জিয়ার অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
নোমান বলেন, আজকে দেশে যে সংকট তা নিরসন করতে হলে চলমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকে তাই সরকার পতনের আন্দোলন করতে হবে। জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে আমরা হাসিনাকে সরাতে পারব না। সেই লক্ষ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। আমাদেরকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আরও এগিয়ে যাব এটাই আমাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য।
নোমান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন মানে জনগণের নির্বাচন। জনগণ নিজেরাই এখন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ। তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে সরকার পতন আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেজন্য আমাদেরকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলন আরও বেশি ত্বরান্বিত করব। কেন না আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
আবদুস সালাম বলেন, দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে মানুষ ঠিকমতো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে না। দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে আর সরকার পদ্মাসেতু নিয়ে আনন্দ করছে। কারণ আওয়ামী লীগ চোরের দল। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। দেশের প্রতি মমত্ববোধ নেই। আসলে গণতন্ত্র না থাকলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না থাকলে মুক্তি মিলবে না।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, কৃষকদলের শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম (ভিপি মাসুম), সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাঈল তালুকদার খোকন, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আমির হোসেন বাদশা, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/