আওয়ামী লীগের বৈঠকে হট্টগোল-বাকবিণ্ডতা
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভায় আবারও হট্টগোল-বাকবিণ্ডতা হয়েছে।
রবিবার (৩ জুলাই) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে দক্ষিণের ইউনিট কমিটি জমা ও বিশেষ বর্ধিত সভা চুড়ান্ত করতে এক বৈঠক ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
সভার এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু বলেন, লালবাগ এলাকায় কমিটি করা হয়, সম্মেলন করা, বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অথচ আমরা যারা দীর্ঘদিন এখানে রাজনীতি করি তাদের কোন ধরনের দাওয়াত দেওয়া হয় না। কমিটি গঠন করা হয় আমাদের মতামত গ্রহণ করা হয় না। এভাবে একক স্বেচ্ছাচারিতায় সংগঠন পরিচালনা করা ঠিক নয়। সবাইকে নিয়ে দল করতে হবে। এ সময় সেন্টুর কথার জবাব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, কে বলছে, দাওয়াত করা হয় না? আপনি জানেন না কেন? সব কর্মসূচিতে নাম রাখা হয়। আপনি আসেন না।
এ সময় সেন্টু বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আপনি লালবাগ থেকে নৌকার মনোনয়ন চান। সে কারণে একলা চলেন। নেত্রী যদি আপনাকে মনোনয়ন দেয়, আমাকে লাগবে না? এ সময় সাধারণ সম্পাদক সেন্টুকে থামিয়ে দেন। পরে সেন্টু বলেন, কথা বলতে দিতে হবে। এক পর্যায়ে চরম হট্টগোল-বাকবিণ্ডতা শুরু হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাউন্সিলর তানিম বলেন, আমার ওয়াডে সম্মেলন নানা প্রোগ্রাম করা হয়, আমাকে জানানো হয় না।
এর জবাবে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তোমার ওয়ার্ডের সবাই তোমার বিরুদ্ধে। সে কারণে জানানো হয় না। একইভাবে মহানগর নেতাদের উপেক্ষা করার অভিযোগ তোলেন সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। তাদের স্থানীয় অনুষ্ঠানে জানানো হয় না। এভাবে চলতে পারে না।
এ সময় কয়েকজন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হুমায়ুন কবিরের পক্ষ নিয়ে সেন্টুর বিপক্ষে কথা বলা শুরু করেন। পরে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী সবাইকে শান্ত হতে বলেন এবং পরবর্তীতে সব কমর্সূচিতে স্থানীয় নেতাদের জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের বৈঠকে বসলে অনেক কথাই হয়। এটা হট্টগোল ও কথা কাটাকাটি বলা যাবে না। নেতাদের কথা তো দলীয় ফোরামেই বলবে।’
সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, সব বিষয়ে নিউজ করতে হবে কেন? এক পরিবারের সদস্যদের মাঝেও কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে একটা সংগঠনে ছোটখাটো কথা হতেই পারে। এটা নিউজ করার মতো কোন বিষয় নয়। এক মাস আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভায় চরম বিশৃঙখলা হয়।
এসএম/এসআইএইচ