উন্নয়নের জোঁয়ারে দ্বাদশ জয়ের অঙ্গীকার আওয়ামী লীগের
উন্নয়নের জোঁয়ারে সাংগঠনিক শক্তিতে ভর করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন দলের আওয়ামী লীগ নেতারা। এলক্ষ্যে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালি প্রক্রিয়াকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে কাফরুল থানা এবং ৪, ১৪, ১৬ ও ৯৪ নং ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনে যে নতুন কমিটি আসবে সেই কমিটি সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কারণ এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং নতুন যারা দায়িত্বে আসবে তাদের উপর এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আসবে। সেই দায়িত্ব সকলকে নিয়ে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, কারণ এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইউনিট, থানা, ওয়ার্ডের সম্মেলন করেছে। তারা এই কাজ সাফল্যের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২৫ তারিখে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাবিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে একটা বড় স্থাপনা বাস্তবায়ন করতে হয়। বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছিল এবং একইভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণে ওয়াল্ড ব্যাংকসহ সকলের বাধা বিপত্তি ও বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে সকল কিছু নসাৎ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা আমরা সেতু কাজ শেষ করেছি।
কারণ আপনাদের দোয়া-আর্শীবাদ আর সমর্থনের কারণেই জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এতো বড় একটা কাজ করতে পেরেছে। আমি বিশ্বাস করি আগামীতেও আপনারা সকলে মিলে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার উপরে ভরসা রাখবেন। কারণ বাঙালির জাতির প্রতিটি বড় বড় অর্জন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এসেছে। আগামীতেও যদি আমরা সকলে একত্রিত থাকি, আগামী দিনেও এগিয়ে যেতে পারবো।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি সম্মেলনের সফলতা কামনা করে যারা দুর্দিনে আওয়ামী লীগে সাথে ছিল, যারা আওয়ামী লীগের সাথে আছে সেই কর্মীদেরকে কমিটিতে স্থান করে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র এখনো ক্ষ্যান্ত হয় নাই। পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এটি বিশ্বের বিস্ময়, স্বাধীনতার পর এতো বড় অর্জন আর আমাদের হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই অর্জন করেছি। আজকে সারাদেশ উন্নয়নের জোঁয়ারে ভাসছে। তখন একটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বিএনপি-জামায়াত তারা উন্নয়ন দেখতে পায় না।
সম্মেলনের উদ্বোধক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আমাদের তৃণমূলের সম্মেলন হয়েছে, ৮০২টি ইউনিট কমিটি হয়েছে। ওয়ার্ড কমিটি হবে, থানা কমিটি হবে। ২০২৩ সালে শেখ হাসিনাকে এরাই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। কারণ সোনার বাংলা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই গড়বেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী আগ্রহীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়। কাফরুল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম মহানগর উত্তর নেতাদের নিকট আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়। টিম লিডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী। টিমের সদস্যরা ছিলেন ইসমাইল হোসেন, এম সাইফুল্লাহ সাইফুল, আব্দুল গফুর মিয়া, সাইফুদ্দিন আহমেদ, আবু ইলিয়াছ রাব্বানী লিখন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফার সভাপতিত্ব সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসনে সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। কাফরুল থানা সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কাসেম অসুস্থ থাকায় যৌথভাবে সম্মেলন পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নজরুল এবং প্রচার সম্পাদক আবু ইলিয়াস রাব্বানী লিখন।
এসএম/এএজেড