ইভিএম পরীক্ষা করতে ইসিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর কার্যকারিতা ও ত্রুটি বিচ্যুতি পরীক্ষা করতে নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল যাবে ইসিতে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় ইভিএম যাচাইয়ের শেষ ধাপে আওয়ামী লীগমসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যর প্রতিনিধি দলে থাকবেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
এদিনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ইসিতে যাবে- বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
এর আগে গত ১৯ ও ২১ জুন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি রাজনৈতিক দলকে ইভিম যাচাই বিষয়ক বৈঠকে ডাকে ইসি। প্রথম বৈঠকে গণফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অংশ নেয়নি। দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল বিএনপি, জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।
প্রথম দফার বৈঠকে অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম’র ব্যবহার চায় না বলে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা ইসিকে জানায় জাতীয় পার্টি। তবে, কিছু দল পুরো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
দুই দফায় দুটি বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সব রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে দেশের সেরা কয়েকজন প্রযুক্তিবিদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাই করেন। তারা ইভিএম নির্ভরযোগ্য বলে মতামত দেন।
উল্লেখ্য, ইসির কাছে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। এসব মেশিন দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে ভোট করতে আরও তিন লাখের মতো ইভিএম প্রয়োজন।
এসএম/এমএমএ/