বিএনপি নেতারা নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে পদ্মা সেতু পার হবেন না: শাজাহান খান
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, দয়া করে আপনারা পদ্মা সেতু পার হবেন না। আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করবেন না। আপনাদের জন্য ঘাটে নৌকা রেখে দেব, এই নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে।
রবিবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শাজাহান খান বলেন, আমি আজ আনন্দে আত্মহারা। আজ আমি মাদারীপুর থেকে রওয়ানা দিয়ে দুই ঘন্টায় ঢাকায় এসেছি । আগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগত। দক্ষিণ পশ্চিমা অঞ্চলের মানুষকে নদী পারি দিয়ে ঢাকা আসতে অনেক সময় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগত। ট্রাক পার হতে কখনো কথনো ৮, ১০, ১৫দিন করতে হয়েছে। শাক সবজি ফলমুল পচে যেত। বছরের পর বছর মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমরা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই পদ্মাসেতুর উদ্বোধন এবং আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে আমি দেখলাম এই অঞ্চলের মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে আসছে আর আসছে। কত মানুষ যে এসেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের ত্রাতা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী না থাকলে এই পদ্মাসেতু হতো না, আমাদের এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি আসত না। আমি পদ্মা নদী পার হয়েছি, সময় লেগেছে মাত্র ৫ মিনিট। পদ্মা সেতু দিয়ে পর হওয়ার সময় আমি নদীর দিকে অনেক সময় তাকিয়ে ছিলাম। কত মানুষের যে শলিল সমাধি ঘটেছে এই নদীতে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমল তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী অলি আহমেদ বলেছিলেন তারা পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করবেন কিন্তু তারা করেনি। তাদের কত মেয়াদ গেলো তারা পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০০১ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা পারি। পদ্মা সেতুর যখন নির্মাণ কাজ চলছিল তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারবে না। জোরাতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে উঠতে রিস্ক আছে। আপনারা কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। বিএনপির নেতারা এখানে আছেন, দয়া করে আপনারা পদ্মা সেতু পার হবেন না। আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ, নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করবেন না।
এসএম/এমএমএ/