বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত এক মায়ের পেটের তিন ভাই: নানক
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই মায়ের পেটের তিন ভাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ’বিএনপি-জামায়াত থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াত এখন গর্তে ঢুকেছে। বিপদ দেখলেই তারা গর্তে
ঢোকে। বিপদ কেটে গেলে গর্ত থেকে বের হয়ে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাদের কাছ থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানী মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৭১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে নানক বলেন, নির্বাচন আসলেই তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়। মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। আমরা পুকুরের মধ্যে। জনগণ হলো পানি। নির্বাচনের জয়ী নিশ্চিত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে- নির্বাচনে আমরা হেরে গেলে হেরে যাবে দেশের স্বাধীনতা, হেরে যাবে মানবতা। দেশের মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
বিএনপি নেতাদের লজ্জা-শরম চলে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তারা (বিএনপি) মনে করে বাঙালি জাতির ভুলে যায়। তারা হয়তো ভুলে গেছে সেই দিন একুশে গ্রেনেড হামলার কথা। কিন্তু বাঙালি জাতি ভোলেনি। নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। কারা সেই পরিকল্পনা করেছে? সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান হাওয়া ভবনে পরিকল্পনা করে সেদিন গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। সে হামলায় আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এখনো বিকলাঙ্গ হয়ে আছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগছে। ২৪ জন আমাদের দলের নিবেদিতপ্রাণ নিহত হয়েছে। বিএনপির ভুলে গেলেও এই দেশের জনগণ সেই হামলার ঘটনা কখনোই ভুলবে না।
সরকারের চলামান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, খালেদার আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এখন আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন দেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের মানুষ বিদ্যুতের আলো দেখেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, মাসের শুরুতেই তাদের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ চলে যায় টাকা এসেছে।
ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল আলম শামিমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খাইরুলের পরিচালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবের হোসেন চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েতুল্লাহসহ থানা ও মহানগের নেতা।
এসএম/এমএমএ/