রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢিলেঢালা হরতালে কিছু উত্তেজনা

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আধা বেলা হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানায় বিএনপি।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ হরতাল দুপুর ১২টায় শেষ হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতাল কর্মসূচি কেমন হলো প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

রাজধানীতে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়। গাড়ি চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দোকানপাট, অফিস-আদালতও যথারীতি খোলা ছিল। এদিকে হরতালে পল্টন মোড়ে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হরতাল সমর্থকদের উদ্দেশে পুলিশকে জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। হরতাল সমর্থকরাও পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে পুলিশের চার থেকে পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, বেলা ১১টার দিকে পল্টনে হরতাল সমর্থকেরা অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। জল কামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের হামলায় আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হরতালের সমর্থনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার পাশের ব্যানার-পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করে ব্যারিকেড তৈরির মাধ্যমে সকাল পৌনে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করেন ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শাহবাগ এলাকায় তৈরি হয় যানজট। কর্মজীবী মানুষদের অনেককেই এ সময় হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, হরতালের সমর্থনে সকালে মিরপুরে মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। এছাড়া সারাদেশেও বেশকিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে হরতালে ছিল না প্রাণ

হরতালে চট্টগ্রাম নগরী কিংবা জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিল-সমাবেশ এমনকি পাওয়া যায়নি পিকেটিংয়ের খবরও। অন্যদিকে প্রায় সব রাস্তায় তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকেও মালামাল পরিবহন স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে সবকটি ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলেও হরতালের কোনো প্রভাব নেই। রাস্তায় বেরিয়ে পড়া বেশ কয়েকজন চাকরিজীবী, সবজি বিক্রেতা আর অটোরিকশা চালক জানিয়েছেন, তাদের জানা নেই আজকে হরতাল।

তবে হরতালকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তায় মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ।

রংপুরে নিরুত্তাপ হরতাল

হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি বিভাগীয় শহর রংপুরে। স্বাভাবিক ছিল সবকিছু। নগরীর সব প্রকার দোকান, মার্কেট ছিল খোলা। সড়কে চলেছে যানবাহন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, মর্ডান, কাচারি বাজার, ধাপ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল করছে। সেই সঙ্গে কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দূরপাল্লার বাসও চলছে।
তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর প্রেসক্লাব এলাকা থেকে বাম জোটের নেতা আব্দুল কুদ্দুস, মমিনুল ইসলাম, রাতুল ও তিতুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেছেন। মিছিলটি শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হোসেন আলী জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

সিলেটে ঢিলেঢালা হরতাল

হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দোকানপাট, মার্কেট, বিপনী-বিতান, শপিংমল সবই খোলা রাখা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হরতাল দেওয়া হলেও জনতাদের মধ্যে অনেকেরই সেটি অজানা! দিনের শুরু থেকে সবকিছুই চলছে সমানতালে।

বাম জোটের সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ। আর হরতাল আহ্বানকারীদের পাশ দিয়েই চলছিল যানবাহন। হরতালে রাস্তাঘাট খালি থাকার পরিবর্তে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নগরের প্রায় প্রতিটি সড়কে যানজট লেগে ছিল।

এদিকে, হরতালের সমর্থনে সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্টে অবস্থান নেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। সেখানে পুলিশি বেষ্টনীতে হাতে গোনা কয়েকজনের উপস্থিততে নেতাকর্মীরা বক্তৃতা দেন।

খুলনায় ৬ হরতাল সমর্থক আটক

খুলনায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালের কোনো প্রভাব ছিল না। সকাল থেকে খুলনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সোনাডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। আন্তঃজেলার সব রুটে বাস চলাচল করেছে। অফিস, দোকান-পাট অন্যান্য দিনের মতো খোলা ছিল। হরতালে নগরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে সকাল ৮টার দিকে মহানগরীর গোলকমনি পার্কের সামনের সড়ক থেকে হরতাল সমর্থনে মিছিলের প্রস্তুতিকালে বাম জোটের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন—বাসদ জেলা আহ্বায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, সিপিবির মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিত্যানন্দ ঢালী, সিপিবির নিরোজ রায়, মো. রাসেল ও কিংসুক এবং গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।

বরিশালে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক

হরতালে বরিশালে তেমন কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। বরিশাল নগরে সব ধরনের থ্রি-হুইলার থেকে শুরু যাত্রীবাহী বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

এদিন সকাল ৬টা থেকে নগরের কাকলীর মোড় এলাকায় বাসদের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এ সময় তারা হরতালের পক্ষে স্লোগান দেন এবং নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানান। বাসদের নেতাকর্মীরা হরতালের পক্ষে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এছাড়া জোটের অন্যান্য দলগুলো নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ করেন।

এদিকে সকাল থেকে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায় ছোট ছোট লঞ্চ। নগরের অভ্যন্তরেও সব যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

রাজশাহীতে উত্তাপহীন হরতাল

হরতালে রাজশাহীর নগরজীবনে কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মণিচত্বর, সোনাদীঘির মোড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত। হরতালে কোনো পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মহানগরীর গণকপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা। তারা সেথানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে হরতালের সমর্থনে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তারা।

হরতালে ময়মনসিংহে সবই স্বাভাবিক

হরতালের প্রভাব ময়মনসিংহে খুব একটা চোখে পড়েনি। নগরীতে বাসসহ ছোট সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল ছিল অন্যান্য সব দিনের মতই স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাটও খুলতে দেখা গেছে।

সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জোটের নেতা-কর্মীরা মিছিল, সমাবেশের চেষ্টা করলেও তেমন একটা সফল হতে পারেননি, পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে। হরতালে বিএনপি নৈতিকভাবে সমর্থন দিলেও দলটির নেতা-কর্মীদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।

সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিতে এসে র‌্যাব কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটকের চেষ্টা করে। আমরা গণগ্রেপ্তার দাবি জানালে তারা পিছু হটেন।’ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় যেকোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি মঙ্গলবার

হরতালে নেতাকর্মীদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সোমবার জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। জলকামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজকের এ জঘন্য পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।

আরএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি