ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: মির্জা ফখরুল
ফাইল ফটো
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অজস্র রক্তধারায় মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা।’
শুক্রবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেই গণতন্ত্র এখন লাশে পরিণত হয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসনে। ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে মূলত: গণতন্ত্রই আজ বন্দি। স্বাধীনতার সব অর্জনকে মুছে দিয়ে অমানবিক দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে জনগণকে কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য নানা কালাকানুন, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যার অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পার হলেও জাতীয় জীবন থেকে দুর হয়নি অন্ধকার। চারিদিকে এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
বাণীতে বলা হয় '২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের এক গৌরবজ্জ্বল মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এ বছরও আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে-যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যারা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুণরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য।
এমএইচ/আরএ/