জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কর্মসূচি ছিল না আওয়ামী লীগের!
দলের কঠিন সময়ে দৃঢ়তার সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন জিল্লুর রহমান। রাজনীতির জন্য স্ত্রীকেও হারিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২০ মার্চ। যিনি পাঁচ পৃথক মেয়াদে ১২ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। সেই নেতার মৃত্যুতে কোন কর্মসূচিই রাখেনি আওয়ামী লীগ। তাকে স্মরণ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জিল্লুর রহমান ওয়ান ইলেভেনের সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দক্ষতার পরিচয় দেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ওয়ান ইলেভেনের সময়ে দলের অনেক সিনিয়র নেতারাই যখন দিকভ্রান্ত তখন বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে মুক্তি ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জিল্লুর রহমান।
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের এই দিনে বার্ধক্যজনিত কারণে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি।
দুঃসময়ের কান্ডারি মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ছিল কি না জানতে চাইলে দলটির উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু সায়েম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ছিল না।’
এসএম/এমএমএ/