খালেদাকে বিদেশ পাঠাতে দুর্বার আন্দোলনের তাগিদ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সত্যিকার অর্থে গুরুতরভাবে অসুস্থ এবং ডাক্তাররা বলেছেন যে, তার বাইরে যাওয়া খুব প্রয়োজন। তারা বলছেন যে, ইতিমধ্যে যে চিকিৎসাটা প্রয়োজন সেই চিকিৎসা দেশে নেই, যা দিলে তিনি সুস্থ হবেন। সরকার সেটা করতে দিচ্ছে না, করতে দিতে চাচ্ছে না।' রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে কৃষক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদার সুচিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর কাজ শুধু কথায় হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি এ আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিকে আরও কঠোর করতে হবে, আরও দুর্বার করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই মুক্ত করেই আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে পাঠাতে পারব এবং তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে পারব।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যে কোনো আন্দোলনকে সফল করতে চান তাহলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে সংগঠনকে শক্তিশালী করা। আপনার যদি সংগঠন শক্তিশালী থাকে, আপনি সব আন্দোলনকে সফল করতে পারবেন। সংগঠন যদি শক্তিশালী না থাকে আপনি কোনো আন্দোলনে সফল হবেন না।'
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, 'আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা দানবে পরিণত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে তারা কিন্তু দেশ চালায় না। দেশ চালায় আমলা এবং তারা গণতন্ত্রের বাইরে দেশ পরিচালনা করছে। আপনারা দেখেছেন আমাদের একটা প্রতিষ্ঠান র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে আমেরিকা থেকে। তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তারাও সেখানে অগ্রহণযোগ্য। তারা সেখানে যেতে পারবে না, তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।'
অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান যেগুলোকে নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত সেগুলোকে তারা ধবংস করে দিয়েছে শুধু তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার জন্য। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনই একমাত্র পথ।'
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব সভা পরিচালনা করেন। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ফজলুল হক মিলন, কৃষক দলের নেতা গৌতম চক্রবর্তী, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, আনম খলিলুর রহমান, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ ।
এপি/