রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে আওয়ামী লীগের বিচার হবে: মির্জা ফখরুল

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে আওয়ামী লীগের বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, 'আসলে আওয়ামী লীগ এদেশে আর কোনো কিছু বাকি রাখেনি। আওয়ামী লীগ এ দেশ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এর জন্য আওয়ামী লীগের যে বিচার হবে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাদের বিচার হবে। দেশের মানুষের সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা শুধু আজকেই নয় ১৯৭১ সালের পর থেকেই তারা বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করেছে এবং সেই কারণেও তাদের অবশ্যই বিচার হবে।'
শনিবার (১৯ মার্চ ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের নতুন নীতিমালা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটার উদ্দেশ্য একটাই- যে কোনো বিষয়েই যেন সংবাদকর্মীরা সংবাদমাধ্যমগুলো সত্যকে তুলে ধরতে না পারে।
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের অসুবিধা নেই ওরা বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে, আমরা সবাই জানি নতুন করে বলার কিছু নেই। ওই একটাই কথা এদের সরাতে হবে। এদের না সরিয়ে এখানে কোনো কিছুই করা যাবে না। সরাতে গেলে দরকার হবে ঐক্য, সাংবাদিকদের মধ্যেও ঐক্য প্রয়োজন আছে, আমরা জাতীয়ভাবে চেষ্টা করছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি। আমি এ কথা বলছি না যে ইউনাইটেড জোট হবে, ইউনাইটেড অ্যালায়েন্স হবে তা নয়, কিন্তু আমরা যেন একই সঙ্গে এ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের যেন পরাজিত করতে পারি সেই বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।'
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেন জনগণের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে কাজ করতে পারি সেজন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আসুন আমরা সবাই এক হই, সব শ্রেণি পেশার মানুষ একজোট হয়ে ভয়াবহ এ ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পরাজিত করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অনন্য ভূমিকা পালন করে ছিলেন। সেই ১৯৯১ সালের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনকালীন তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অত্যন্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে ছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি দেশের মানুষ যতদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে ততদিন তাকে মনে রাখবে। তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে এ দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য।
এমএইচ/এসএন
